Thursday, November 6, 2025

হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে পাঁচ দফা সুপারিশ রাষ্ট্রপুঞ্জের

Date:

Share post:

বাংলাদেশের (Bangladesh) গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Former Prime Minister Seikh Hasina) জামানায় ‘পরিকল্পনামাফিক বিচার বহির্ভূত হত্যালীলা’ ও ‘মানবতাবিরোধি অপরাধ’ ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ। বাংলাদেশের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে ও অরাজকতা থামাতে পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের তরফে।

এই পাঁচ দফা সুপারিশের প্রথম দফায় রয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অপরাধীকে গুম, নির্যাতন সহ একাধিক বিষয়ে তদন্ত ও বিচারের জন্য কার্যকর, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের আইন ও আন্তর্জাতিক বিধি অনুযায়ী, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এড়াতে পুলিশ বিধি সংশোধন করতে হবে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সংশোধনগুলি করতে হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গুরুতর আহত অথবা সশস্ত্র প্রাণঘাতী হামলার মোকাবিলা ছাড়া পুলিশকে গুলি চালানোর অধিকার দেওয়া যাবে না। পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হলে কড়া শাস্তি হবে।

তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিতর্কিত ফৌজিদারি আইন রদ অথবা সংশোধন করার সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এছাড়াও, বাক স্বাধীনতা ফেরাতে এই সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার, তদন্ত, বিচার স্থগিত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

চতুর্থত, হিংসা ও বিদ্বেষের আবহ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, কোনও রাজনৈতিক দলকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা কাম্য নয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনুসের আমলে আওয়ামী লীগকে সিদ্ধ করার ইঙ্গিতে সায় নেই রাষ্ট্রপুঞ্জের।

পঞ্চম দফায়, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বেশ কয়েকটি সংস্কারের পাশাপাশি, শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে আর্থিক সুশাসন ফেরানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ মনে করছে, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা অথবা বড় মাপের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। এই সুপারিশও করা হয়েছে রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, সরকারি আধিকারিকরা বা রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সংস্কারের পাশাপাশি হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে আর্থিক সুশাসন ফেরানোও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা কিংবা বড় মাপের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।

 

 

spot_img

Related articles

এবার থেকে রাজ্যের স্কুলে প্রার্থনায় গাইতেই হবে রাজ্য সঙ্গীত: জারি নির্দেশিকা

এবার থেকে রাজ্যের স্কুলে প্রার্থনায় বাধ্যতামূলক করা হল রাজ্য সঙ্গীত। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,...

বিনামূল্যে হৃদরোগের চিকিৎসা – জটিল অপারেশন! ‘শিশু সাথী’ প্রকল্প নিয়ে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর

নয়া মাইলফলকে পৌঁছাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘শিশু সাথী’ প্রকল্প । কলকাতা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তরবঙ্গ...

বিমানবন্দর থেকে ‘পলাতক’ বাঁদর, তুলকালাম নেটপাড়া

অবাক কাণ্ড! কলকাতা বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের এক যাত্রীর ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল দুটি ছোট বাঁদর। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়...

জামিন পেলেন না জীবনকৃষ্ণ, জেল হেফাজত ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত

নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করল বিশেষ ইডি আদালত। বৃহস্পতিবার বিচার ভবনে শুনানি...