কলকাতা থেকে বারাসত হয়ে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার এই জাতীয় সড়কের আমডাঙা এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণে রাজ্যকে কড়া হাতে পদক্ষেপ করতে হবে। জনস্বার্থে দখলদারদের সরাতে রাজ্য সঠিক পদক্ষেপ নিক, না হলে এই জাতীয় সড়কের কাজ শেষ হবে না। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ১ মার্চ আমডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন কোনও দখলদার যাতে কাজে বাধা দিতে না পারে তার জন্য পুলিশকে পর্যাপ্ত বাহিনী সেখানে রাখতে হবে। জেলায় পুলিশের সংখ্যা কম হলে আশপাশের জেলা থেকে, এমনকী ব্যাটেলিয়ান থেকেও পুলিশ আনাতে হবে।আদালতের নির্দেশ, কোনও অজুহাতেই যাতে ওই জাতীয় সড়কের কাজ আটকে না যায়, তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। গত দু’মাস ধরে এ সব গোলমালের জন্য সম্প্রসারণের কাজ আটকে রয়েছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এদিন হাইকোর্টে জানায়।

প্রসঙ্গত, আমডাঙায় জমিজটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। জট কাটাতে জমিদাতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে প্রশাসন এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। বার বার কাজে বাধা দেন এলাকার লোকজন। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধও হয়। কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম লাইফ লাইন ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক, যা বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে শুরু হয়েছে। জেলা সদর থেকে আমডাঙার সন্তোষপুর পর্যন্ত রাস্তার সম্প্রসারণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমডাঙার সন্তোষপুর থেকে রাজবেড়িয়া মোড় পর্যন্ত সম্প্রসারণ আটকে রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে।

তথ্য বলছে, ওই এলাকার জমিদাতাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য সবমিলিয়ে সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার বেশি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের কোষাগারে জমা দিয়েছে। তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৮৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে জমিদাতাদের। কিন্তু ওই এলাকায় রাস্তার ধারের সরকারি জমি এতদিন ধরে দখল করে যারা ছিলেন, তারাই নিজেদের জমিদাতা বলে দাবি করে এলাকায় কাজে বাধা দিচ্ছেন। এ দিন হাইকোর্টে এ কথা জানান আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার অনিন্দ্য লাহিড়ি। এর পরেই হাইকোর্ট কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়।

–
–

–

–

–

–

–

–

–