মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে ২৬ ফুটের ‘বিবেক দুয়ার’ তোরণ, শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

হাওড়ায় বিবেকানন্দের পদার্পণের মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে তৈরি হল ২৬ ফুটের ‘বিবেক দুয়ার’ তোরণ। মঙ্গলবার এই তোরণের উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ, সহ-অধ্যক্ষ স্বামী ভজনানন্দজি মহারাজ, স্বামী গিরিশানন্দজি মহারাজ সহ অগণিত রামকৃষ্ণ অনুরাগী। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক ও হাওড়া সদর তৃণমূলের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ, বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী, হাওড়ার মুখ্য পুর-প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। মন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৮৯৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমার তিথিতে ১৫ জন গুরুভাইকে সঙ্গে নিয়ে বরানগরের আলমবাজারের মঠের ঘাট থেকে তিনটি ডিঙি নৌকায় হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পৌঁছেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এরপর সেখান থেকে খোল করতাল বাজিয়ে গিরিশচন্দ্র ঘোষের লেখা গান গাইতে গাইতে পায়ে হেঁটে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য নবগোপাল ঘোষের রামকৃষ্ণপুরের বাড়িতে পৌঁছোন স্বামীজি। সেখানে তিনি রামকৃষ্ণদেবের বার্লিন থেকে তৈরি করিয়ে আনা পোর্সেলিনের মূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। সেইসঙ্গে সেখানে ধ্যানমগ্ন হয়ে রামকৃষ্ণদেবের প্রণাম মন্ত্রও রচনা করেন স্বামীজি। এরই পাশাপাশি নবগোপালবাবুর স্ত্রী নিস্তারিণীদেবীর হাতের রান্না খেয়ে মুগ্ধ হয়ে স্বামীজি ক্ষেত্রীর মহারাজ অজিত সিং বাহাদুরের কাছ থেকে পাওয়া রাজস্থানি যে পাগড়িটি পড়ে শিকাগো ধর্মসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি উপহারস্বরূপ ঘোষ পরিবারের হাতে তুলে দেন। ১২৮ বছর ধরে স্বামীজির ব্যবহৃত সেই পাগড়ি সযত্নে ঘোষ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে রেখে দিয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দের হাওড়ার রামকৃষ্ণপুরে পদার্পণের সেই মুহূর্তকে সম্মান জানিয়ে চিরস্মরণীয় করে রাখতে স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত রামকৃষ্ণপুর ঘাট সংলগ্ন রাস্তায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে প্রায় ২৬ ফুট উঁচু ‘বিবেক দুয়ার’ তোরণ তৈরি হল।

আরও পড়ুন- বাম আমলের বিপুল ঋণের বোঝা সামলেও বাংলার ভোলবদলেছে TMC: উন্নয়নের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_