যতদিন যাচ্ছে, দুরত্বও ততই বাড়ছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামির মধ্যে। আওয়ামি লিগবিহীন ফাঁকা মাঠে এই দুই দলের সংঘাতের কারণ একটাই ক্ষমতা দখল! বিএনপি-জামায়াতের এই সংঘাতে রীতিমতো আতঙ্কিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরুল লিখেছেন, নিজের ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিই ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে, সবচেয়ে বেশি হতাশ লাগে।

এদিকে জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির পাশে দাঁড়াল জাতীয় পার্টি (জাপা)। প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুসেন মহম্মদ এরশাদ এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বৃহস্পতিবার বলেন, সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানতে অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার প্রসঙ্গে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও করেনি।নির্বাচনের পরে যারা সরকার গঠন করবে, তারাই সংস্কার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে’।

এরই পাশাপাশি কাদেরের মন্তব্য, এখনই সংস্কারে হাত না দেওয়াটাই আমাদের মত। তার বক্তব্য, যদি নির্বাচনে নিরপেক্ষতা না থাকে, যদি একতরফা নির্বাচন হয়, তা হলে কারও নির্বাচনে বৈধতা দিতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতৃত্ব গত কয়েক মাসে একাধিক বার একই দাবি তুলেছেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনের সার্বিক সংস্কার কর্মসূচির নাম করে ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারে শামিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে খালেদার দল।

গত কয়েক মাস ধরে শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলির মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছে। দ্রুত জাতীয় সংসদের নির্বাচন চেয়ে বিএনপি ক্রমশ অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। অন্য দিকে, জামায়াতে নেতৃত্ব চাইছেন এ ক্ষেত্রে ইউনূসকে ‘প্রয়োজনীয় সময়’ দিতে।


–

–

–

–

–

–

–
