আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা শুধু বাংলাভাষা নয়, সব ভাষাকেই শ্রদ্ধা জানাই। শুক্রবার বিকেলে দেশপ্রিয় পার্কের ‘অমর একুশে’ মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সব ভাষাকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, আমরা সব ভাষাকেই শ্রদ্ধা করি।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং বিশিষ্টরা। ছিলেন রাজ্যের একাধিক শিল্পী। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী সর্বাণী মুখোপাধ্যায় ছিলেন মঞ্চে। রাজ্য সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জয় গোস্বামী কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর ‘বাংলা’ কবিতাটি পাঠ করেন। কবি শ্রীজাত প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর নতুন কবিতা পাঠ করেন। সঙ্গীত পরিবেশনা করেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, লোপামুদ্রা মিত্র, বাবুল সুপ্রিয়, রূপঙ্করইমন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন গায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। জয় গোস্বামী, শ্রীজাত, সুবোধ সরকার, আবুল বাশার কবিতা পাঠ করলেন। এদিন বারে বারে সকলের কণ্ঠেই উঠে এসেছে প্রয়াত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শুধু বাংলা নয়, সব ভাষাকে শ্রদ্ধা জানানোর কথা হলে মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমাদের সরকার বাংলাভাষার প্রতি যেমন শ্রদ্ধাশীল একই সঙ্গে অলচিকি, কুরমালি, গোর্খা-সহ রাজ্য সরকার বহু ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ভাষাদিবস কারও কেনা নয়। আমরা সব ভাষাকেই শ্রদ্ধা করি। “ভাষা দিবস সবার, ভাষা কারোর একার কেনা নয়। অন্যান্য ভাষাকেও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। আমাদের মাতৃভাষা দিবসে সকলকেই শুভেচ্ছা, তারা তাদের ভাষা নিয়ে ভাল থাকুক। শুধু আমাদের মাতৃভাষা নয়, আমরা সব ভাষাকেই শ্রদ্ধা জানাই। সকলে সকলের ভাষা নিয়ে ভাল থাকুন। তবে বাংলা ভাষার গুরুত্ব চিরকাল ছিল, থাকবে। দেরিতে হলেও আমরা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই।“

বাংলা ভষাকে দ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এদিন ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বস্তা বস্তা নথি দিয়ে ব্রাত্য প্রমাণ করে দিয়েছেন, বাংলা ভাষা হাজার বছরের পুরনো ভাষা।” এদিন বক্তব্যের শেষে নিজের লেখা একটি কবিতা পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী। সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

–

–
–

–
–

–
