Saturday, May 3, 2025

কাকা প্রসূনই শিরা কাটেন সবার, ৩ প্ল্যান ছিল আত্মহত্যার! বিস্ফোরক ট্যাংরার দে-বাড়ির নাবালক

Date:

Share post:

ধাতস্থ হয়ে হাসপাতালেই ট্যাংরা (Tangra) হত্যাকাণ্ডের অন্ধকারের মধ্যে কিছুটা আলো ফেলল দে পরিবারের নাবালক পুত্র প্রতীপ (Pratip Dey)। তার অভিযোগ, বাবা প্রণয় দে নন, কাকা প্রসূন দে-ই তাঁর মা সুদেষ্ণা দে ও রোমি দে-র শিরা কাটেন। আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেই বাড়ি থেকে বেরোন তাঁরা। পরিকল্পনা ছিল তিনটি- ট্রেনের সামনে ঝাঁপ, গঙ্গায় ঝাঁপ অথবা দ্রুত গতিতে আসা লরিকে সজোরে মুখোমুখি ধাক্কা। কিছুই না পেরেই না কি সজোরে পিলারে ধাক্কা মারে তাদের গাড়ি- দাবি নাবালকের। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় গাড়ির গতিবেগে ছিল ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলার দিকেই খুন হন সুদেষ্ণা, রোমি ও প্রিয়ম্বদা দে। পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫১ মিনিট নাগাদ ট্যাংরার অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে প্রতীপকে নিয়ে বেরোন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন। হাসপাতালে প্রণয়ের বয়ান নেওয়া গিয়েছে।

প্রাথমিক বয়ান অনুযায়ী,
সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ার পরেও মঙ্গলবার সকালে ঘুম ভাঙে সবার।
মঙ্গলবার বেলার দিকেই ‘খুন’ করা হয়েছে ওই তিন জনকে।

প্রশ্ন ওঠে কে খুন করে? তার পরে দে বাড়িতে কী ঘটেছিল?
সেই ধোঁয়াশা কিছুটা স্পষ্ট হয় প্রতীপের (Pratip Dey) বয়ানে। সে জানায়, বাড়িতে তার মা, কাকিমা ও খুড়তুতো বোনকে তার বাবা প্রণয় নন, খুন করেছেন তার কাকা প্রসূন দে। তিনিই সবার হাতের শিরা কাটেন বলে দাবি ওই নাবালকের৷

প্রতীপের বয়ান অনুযায়ী, হাতের শিরা কাটলে তাড়াতাড়ি রক্ত বেরিয়ে সবাই মারা যাবে ভেবেই পরিকল্পনা হয়। কিন্তু তার পরেও বাবা, কাকা ও সে প্রাণে বেঁচে যায়।

তাহলে কি ভয়ে পেয়ে জীবিত সদস্যদের নিয়ে পালাচ্ছিলেন প্রসূন?
প্রতীপের দাবি, না। তাদেরও আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মহননের তিনটি প্ল্যান করেন দুইভাই। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ, গঙ্গায় ঝাঁপ, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে কোনও লরির সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। কিছুই না করতে পেরে, শেষ পর্যন্ত সেতুর পিলারে ধাক্কা মারেন বলে দাবি প্রতীপের।
আরও খবর: অল্পের জন্য রক্ষা! বালাসোরের কাছে ট্রাকশন মোটর খুলে গেল চলন্ত এনজেপি- চেন্নাই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের

প্রসূন ও প্রণয়ের সঙ্গেও কথা হলে তথ্য-প্রমাণ যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তার পরে সেই বয়ানের সঙ্গে প্রতীপের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। তবে, নাবালক তদন্তে সাহায্য করলেও, দে ভাইদের মুখে কুলুপ। এখনও এটাও খোলশা হয়নি কেন নাবালিকা প্রিয়ম্বদার দেহে অত আঘাতের চিহ্ন। দে-ব্রাদার্সের বয়ান অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের কথাতেই জট আরও কাটবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

spot_img
spot_img

Related articles

লন্ডনে অ্যাডামাস টেক কলসালট্যান্সির অফিস উদ্বোধন বাবুল সুপ্রিয়র

বিশেষ সংবাদদাতা, লন্ডন: কলকাতার বাঙালির হাতে তৈরি কলকাতার সংস্থার অফিস উদ্বোধন লন্ডনে (London)। শনিবার, অ্যাডামাস টেক কলসালট্যান্সি, ইউ...

বার্নপুরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পাদুকা! উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে ভক্তদের 

আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার প্রথমবার আসানসোলের বার্নপুর আনা হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জোড়া পাদুকা। বার্নপুর টাউন পুজো কমিটির উদ্যোগেই এই...

বিজেপি শাসিত রাজ্যে হেনস্থা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের! শাহকে চিঠি সাংসদ সামিরুলের

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার ও বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন...

আইএএস-আইপিএসদের নয়া ইউনিফায়েড পেনশন প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

সর্বভারতীয় ক্যাডারের অন্তর্গত আইএএস, আইপিএস সহ অন্যান্য আধিকারিকদের জন্য রাজ্য সরকার নতুন ইউনিফায়েড পেনশন প্রকল্পের (Unified Pension Scheme)...