বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের মতো বেশ কিছু জেলায় হাজার দুয়েকের মতো বাড়ির জন্য এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি। দ্রুত সেই সব আবেদনের নিষ্পত্তি করে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

এদিকে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৭০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোচবিহারে এক লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। এই নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে ৮০ হাজার ৯৩১টি বাড়ি তৈরির টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য বন্ধ থাকলেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সমস্ত গৃহহীন পরিবারকে মাথার উপরে পাকা ছাদের সংস্থান করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আগামী আর্থিক বছরে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে। এজন্য আরও ৯৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। বাংলার বাড়ি প্রকল্প রূপায়ণে যাতে কোনও রকম দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে তার জন্যে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশ, যাঁরা প্রথম দফায় টাকা পেয়েছেন তাঁদের আগামী এপ্রিলের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে লিনটন ঢালাই শেষ করতে হবে। অন্যথায় তাঁদের নোটিস ধরানো হবে। কেউ ইচ্ছা করে টাকা ফেলে রাখলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন বিডিও।

আরও পড়ুন- গুলেন বারি উপসর্গে ফের মৃত্যু রাজ্যে! এবার প্রাণ গেল আর জি করের প্রাক্তন ছাত্রের

_

_

_

_

_

_
_


