Thursday, August 21, 2025

রাজ্য সম্পাদক পদে সেলিমেই আস্থা: ছাঁটা হল সুশান্ত-বিকাশ-কলতানকে, মহিলা সদস্য মাত্র ১৪!

Date:

Share post:

মহম্মদ সেলিমে আস্থা থাকলেও, মুখ বাঁচাতে রাজ্য কমিটি থেকে সুশান্ত ঘোষ ও কলতান দাশগুপ্তকে ছেঁটে ফেলল CPIM। বাদ পড়লেন ‘মামলাবাজ’ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও (Bakash Bhattacharya)।  রাজ্য সম্মেলনের শেষদিনে নবগঠিত রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়েছে। তাতে বাদ পড়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, রাজ্য কমিটি থেকে ‘ছুটি’ দেওয়া হয়েছে অশোক ভট্টাচার্য ও জীবেশ সরকারও। সর্বসম্মতিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হন মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। সামন্য বেড়েছে মহিলা সদস্যের সংখ্যা। তাও সেটি মাত্র ১৭ শতাংশ।

গত কয়েকটি নির্বাচনে বাংলায় শূন্য CPIM। পালে হাওয়া লাগাতে নতুন মুখদের নির্বাচনের ময়দানে নামনো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য কমিটি থেকে বৃদ্ধতন্ত্র সরল না। ৮০ জনের রাজ্য কমিটিতে মীণাক্ষি ছাড়া তরুণ মুখ প্রায় নেই। তবে সমালোচনার মুখে পড়ে মহিলা সদস্যর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এক তৃতীয়াংশ মহিলা সদস্য হলে ২৬-২৭জনকে রাখতে হত। সংসদে মহিলা আসন সংরক্ষণ নিয়ে গলা ফাটানো সিপিএম কিন্তু নিজের দলে সেই রীতি মানল না।  ৮০ জনের রাজ্য কমিটিতে মাত্র ১৭ শতাংশ কম ১৪ জন মহিলা সদস্য রয়েছে। তালিকায় মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakkhi Mukharjee) থেকে দেবলীনা হেমব্রম, রূপা বাগচী, কণীনিকা ঘোষ বসু, গার্গী চট্টোপাধ্যায়, মধুজা সেনরায়, জাহানারা খান রয়েছেন। কমিটিতে নতুন সদস্য ৯ জন।

মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ ভিডিও ভাইরাল হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদ সুশান্ত ঘোষের (Sushanta Ghosh)। সেই পদ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এবার রাজ্য কমিটির সদস্যপদটাও খোয়ালেন তিনি। বাদ পড়েছেন জেলা কমিটি থেকেও। তার জায়গায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক করা হয়েছে বিজয় পালকে।

সুশান্ত ঘোষের নাম যদি জড়ায় ভাইরাল ভিডিও-তে। ভাইরাল অডিও-কাণ্ডে নাম জড়ায় যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তের। আর জি কর আন্দোলনের সময়ে তাঁর বিতর্কিত অডিও ভাইরাল হয়। অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলতে তাঁকে বাদ দিল সিপিএম।

বাদ পড়েছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মামলার নামে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ওঠে। তাঁকেও ছেঁটে ফেলল আলিমুদ্দিন। পাশাপাশি, অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার, অমিয় পাত্রের মতো প্রবীণ নেতাদেরও রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই দিল না সিপিএম।

কয়েকটি নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। রয়েছেন, কলকাতার সিটু নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী।

২৬-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলেরই চোখ দলীয় সংগঠন সাজানোয়। সেই কারণেই সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলনও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শূন্যের খরা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্য সম্মেলনে রাজ্য সম্পাদক সেলিম কী ভোকাল টনিক দেন- সেটাই দেখার।

spot_img

Related articles

অযোগ্যকে নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না, চাইলে রাজ্য পরীক্ষা পিছোতে পারে: SSC-কে বলল সুপ্রিম কোর্ট

আপনারা কি নিজেদের পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকাতে চাইছেন? এটা লজ্জাজনক। ট্রুলি শকিং। আমরা আগেই বলেছি, কোনও ভাবেই...

বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার স্মরণে ফুটবল প্রতিযোগিতার ঘোষণা ক্রীড়ামন্ত্রীর

১৮৯৩ সাল, শিকাগোর ধর্মসভায় সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই স্বামী বিবেকানন্দের(Swami Vivekananda) বক্তৃতায় বিদ্যুতের গতির মতো ছড়িয়ে...

অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলা: জামিন পরেশ পালসহ ২ কাউন্সিলরের

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও উপযুক্ত প্রমাণই নেই। বিজেপির তরফ থেকে বারবার তৃণমূল বিধায়ককে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হলেও আদতে...

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষায় বায়ো-লক সিস্টেমের রিপোর্ট তলব রাজ্যের

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মেনে বায়োমেট্রিক লক (Biometric Lock)...