সরকারি হাসপাতালকে ভরসা করেই উত্তরবঙ্গ থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসেন বালুরঘাটের বাসিন্দা মৌমিতা বর্মন। বয়স ২৬ বছর। বিয়ে করেছিলেন এক বছর আগে। আচমকাই একদিন শ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে চাপ চাপ ব্যথা। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে ইসিজি করেন। সেখানেই ধরা পড়ে হার্টে সমস্যা। এদিকে ততদিনে সন্তানসম্ভবা মৌমিতা। এবার উপায়? জটিল অস্ত্রোপচার করে সদ্যোজাত ও শিশুকে বাঁচিয়ে দিয়ে অসাধ্য সাধন করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।

অবস্থা জটিল দেখেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারি পরিকাঠামোয় প্রসূতি ও তাঁর সন্তানকে বিপন্মুক্ত করল ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। মায়ের বুকে অস্থায়ী পেসমেকার, সে অবস্থায় পৃথিবীর আলো দেখল সদ্যোজাত। নেতৃত্বে সুপার ডা. অর্ঘ্য মৈত্র, স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রণব বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সুশান্তকুমার পাইনের তত্ত্বাবধানে। অপারেশন টিমে ছিলেন স্ত্রীরোগ বিভাগের ডা. ধারা লায়েক, ডা. পৌলমী রায়, অ্যানাস্থেটিস্ট ডা. মৃন্ময় বসাকও।

মৌমিতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বালুরঘাটের চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, হৃদপিণ্ডের এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার অত্যন্ত বিপজ্জনক। পেসমেকার বসিয়ে তবে ওটি করতে হবে। এমতাবস্থায় কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নয়, মৌমিতার পরিবার ভরসা রেখেছিল বাংলার সরকারি পরিষেবায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা এবং সন্তান দু’জনেই এখন ভালো আছে। প্রসূতিকে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। কার্ডিওলজি বিভাগে এবার তাঁর স্থায়ী পেসমেকার বসবে।

আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে আদালত চত্বরে মহিলা আইনজীবীর উপর অ্যাসিড হামলা যোগীরাজ্যে! আটক দুই
_

_

_

_

_

_

_
