দিব্যি চলছিল নন্দনকানন এক্সপ্রেস।যাচ্ছিল ওড়িশার উদ্দেশে।হঠাৎই চলন্ত অবস্থাতেই দু’ভাগ হয়ে গেল সেই এক্সপ্রেস। কয়েকটি কামরা নিয়ে এগিয়ে গেল ইঞ্জিন। বাকি কামরাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। কাপলিং ভেঙে খুলে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি।জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তরপ্রদেশ থেকে ওড়িশা আসছিল। কিন্তু চান্দৌলির কাছে ট্রেনের মাঝখান থেকে একটি কামরার কাপলিং খুলে যায়। এই কাপলিংয়ের মাধ্যমে একটি কামরার সঙ্গে আর একটি কামরা যুক্ত থাকে। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশনের কিছুটা দূরে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।তারা জানিয়েছেন, আচমকাই ঝাঁকুনি অনুভব করেন তারা। তার পর কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন থেমে যায়। আতঙ্কিত হয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন বহু যাত্রী।

তারা জানিয়েছেন, প্রথমে বোঝা যায়নি কী ঘটে গিয়েছে। কিন্তু ঝাঁকুনি লাগায় কিছু একটা হয়েছে আঁচ করতে পেরেছিলেন অধিকাংশই। ট্রেন থামতেই নেমে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি কামরা ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পরে জানা যায়, কাপলিং ভেঙে যাওয়ায় এই বিপত্তি।জানা গিয়েছে, ট্রেনটি পুরীতে যাচ্ছিল। এই ঘটনার জেরে তিন ঘণ্টা দেরি হয়। ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–