ওড়িশায় ধর্ষিতা আদিবাসী স্কুল পড়ুয়া, গর্ভপাতের অনুমতি হাইকোর্টের

ওড়িশার কন্ধমালের (Kandhamal) সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ১৩ বছরের আদিবাসী ওই নাবালিকা (tribal minor) ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে ধর্ষণের শিকার

ধর্ষিতা নাবালিকার (tribal monir) স্বাস্থ্যের কথা নজরে রেখে গর্ভপাতের অনুমতি দিল ওড়িশা হাইকোর্ট (Odisha High Court)। আদিবাসী স্কুলপড়ুয়ার গর্ভপাত (abortion) নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে ও সেই নিয়ম রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিল আদালত।

ওড়িশার কন্ধমালের (Kandhamal) সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ১৩ বছরের আদিবাসী ওই নাবালিকা (tribal minor) ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষক যুবকের ভয়ে দীর্ঘদিন সে বাড়িতে ঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেনি। যখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তখন গর্ভপাতের (abortion) সরকার নির্দেশিত ২৪ সপ্তাহের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছিল।

এরপর ক্রমশ ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ফেব্রুয়ারিতে শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায় সে সিকল সেল অ্যানিমিয়ায় (sickle cell anemia) আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে সুস্থভাবে সন্তানের জন্য দেওয়া কোনওভাবেই তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

এই মামলার শুনানিতে ওড়িশা হাইকোর্টের (Odisha High Court) বিচারপতি সঞ্জীব পানিগ্রাহির বেঞ্চ গর্ভপাতের অনুমতি দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ যখন নাবালিকা এই সন্তান ধারণে শারীরিক বা মানসিক, কোনওভাবেই সক্ষম নয়, তখন সন্তানের জন্ম দেওয়া তার পক্ষে দুর্বিসহ। পাশাপাশি সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে যখন মায়ের পরিস্থিতি তখন সন্তানের জন্মের পরে তার বিরূপ অবস্থা ও এই বয়সে চাপিয়ে দেওয়া মাতৃত্বের ফল ভোগ করতে হবে।