হাতাহাতি থেকে খণ্ডযুদ্ধ। শেষে সাংসদরাই সংসদের (parliament) ভিতরে গ্রেনেড ছুঁড়লেন সার্বিয়ায় (Serbia)। সৌভাগ্যবশত ধোঁয়ার গ্রেনেড (granade) হওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ইতিমধ্যেই তিন সাংসদ গুরুতর আহত হন, যার মধ্যে একজনের স্ট্রোক হয়ে যায় এই ‘হামলা’য়। দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের বিরোধী সাংসদদের সমর্থন দেখাতে এই কাণ্ড তাঁরা ঘটান সংসদের ভিতরে।

গত বছর সার্বিয়ায় (Serbia) একটি রেলস্টেশনে ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই একের পর এক দুর্নীতি (corruption) ইস্যুতে আন্দোলনে উত্তাল হতে থাকে সার্বিয়া। আন্দোলনের প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দেয় দেশের ছাত্রসমাজ। সার্বিয়ার প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক জোট সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানায়।

মঙ্গলবার সার্বিয়ায় বসন্ত অধিবেশনের সূচনা হয়। অধিবেশনের প্রথম দিনই দুর্নীতি ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাবে মান্যতা দেন স্পিকার। এরপরই দেখা যায় কিছু বিরোধী সাংসদ নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করে স্পিকারের (Speaker) চেয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে কয়েকজন সাংসদ স্মোক গ্রেনেড (smoke granade) ছোড়েন সংসদ কক্ষের ভিতরে। আবার রঙিন ফ্লেয়ার (flare) কক্ষের ভিতরেই জ্বালাতে দেখা যায় সাংসদদের। গোটা সংসদ কক্ষ ধোঁয়ায় ভরে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত তিন সাংসদ। তার মধ্যে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে।

–
–

–

–

–

–

–

–
