চায়ের টেবিলে সমস্যা মেটান: রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর মামলায় পরামর্শ বিচারপতির, আনন্দ বোসের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা

আদালতে নয়, সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধান সমস্যা মিটিয়ে নিন চায়ের টেবিলে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Anand Bose) দায়ের করা মানহানির মামলায় বৃহস্পতিবার এই পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৃষ্ণা রাও (Krishna Rao)। ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যেই ‘চায়ে পে চর্চা’য় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া পরামর্শ দেন বিচারপতি। একই সঙ্গে বারবার সময় চাওযার রাজ্যপালের পক্ষের আইনজীবীদের ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, এই পরামর্শ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবীরা।

লোকসভা ভোটের সঙ্গেই রাজ্যে বরাহনগর এবং ভগবানগোলায় বিধানসভা উপনির্বাচন হয়। জেতেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রায়াত হোসেন সরকার। গত বছর জুন মাসে সেই দুজনের শপথ নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে আনন্দ বোসের ভূমিকার সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সায়ন্তিকা, রায়াত ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এর পরেই ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাজ্যপাল বোস।

সেই মামলায় এদিন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৃষ্ণা রাও মন্তব্য করেন, রাজ্য ও রাজ্যপাল আদালতে লড়াই করছেন এটা উদাহরণ সুখকর নয়। আদালতে লড়াই না করে ‘চায়ে পে চর্চা’য় বিষয়টি দু’পক্ষ মিটিয়ে নিক- পরামর্শ বিচারপতির। এই পরামর্শ গ্রহণ করে, মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সওয়াল, আদালতের এই পরামর্শ নিয়ে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে, তিনি জানান, “আদালত দু’পক্ষকে বসে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার কথা বলেছে আজকের নির্দেশে সেটা উল্লেখ করা হোক।“ এর উত্তরে বিচারপতি বলেন, আপাতত মৌখিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে নির্দেশও দেওয়া হবে। ২ সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নিক দুপক্ষ। ৯ এপ্রিল এই মামলার শুনানি।
আর খবরহাই কোর্টের নির্দেশ: ইন্দ্রানুজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্রাত্য-ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে FIR

এর আগে এদিন রাজ্যপালের আইনজীবী হলফনামা দাখিল করার জন্য অতিরিক্ত সময় চান। এর পরেই বিচারপতি ভর্ৎসনা করে বলেন, “আরও সময় চাইছেন! মামলাটি নিয়ে আপনি সিরিয়াস তো? রাজ্যপালের মামলার কী দরকার?” এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, এমনিতেই রাজ্যপাল রক্ষাকবচ পান। রাজ্যপালের এই ধরনের পদক্ষেপ সংবিধান রচয়িতারা ভাবনায় আনলে এমন আইন বানাতেন না।