সরকারি চিকিৎসকের বদলি এক সাধারণ স্বাভাবিক ঘটনা। তা নিয়ে উচাটন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর ফ্রন্টের। আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে শোরগোল করা ডা. সুবর্ণ গোস্বামী (Subarna Goswami) বদলি আটকানোর মরিয়া চেষ্টায় এবার মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, গ্রিভান্স রিড্রেস্যাল সেল-কে ই-মেল করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। আর এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেছে PHA। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক করবী বড়াল বলেন, সরকারি চাকরিতে বদলিটা স্বাভাবিক। টিভিতে মুখ দেখাতে পারবেন না আর দেড়শো গ্রাম বীর্যের তত্ত্ব দিতে পারবেন না বলেই কি বদলে নিতে চাইছেন না ডক্টর গোস্বামী?

পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ থেকে দার্জিলিঙের টিবি হাসপাতালে হাসপাতালের সুপার পদে সুবর্ণ গোস্বামীর (Subarna Goswami) বদলি রুটিন- জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরেও এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে চাইছে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্যে অস্থিরতার তৈরির ষড়যন্ত্রকারীরা। সে কারণেই বৃহস্পতিবার বদলির নির্দেশের পরেই স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের নামে অশান্তি করার ছক কষা হয়। রাস্তা অবরোধের জেরে হয়রান হন পথচলতি সাধারণ মানুষ। এরপর শুক্রবার ইমেইল করে সুবর্ণ গোস্বামী দার্জিলিং যাওয়া আটকাতে তৎপর হয় WBDF।

এর পাল্টা তীব্র কটাক্ষ করেন PHA-র সাধারণ সম্পাদক করবী। বলেন, সরকারি চাকরিতে বদলি একটা স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও অর্থ হয় না। যদি ডা. গোস্বামীর বদলি পছন্দ না হয় তাহলে তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন। এর পরেই করবী প্রশ্ন তোলেন, কীসের জন্য দার্জিলিং যেতে এত অনীহা সুবর্ণ গোস্বামীর? কাজে ফাঁকি দিয়ে বর্ধমান থেকে প্রতিদিন কলকাতায় এসে টিভি চ্যানেলে মুখ দেখাতে পারবেন না তাই? আর জি কর ইসুকে সামনে রেখে সরকার ফেলে দেওয়ার যে ঘৃণ্য চক্রান্ত তাঁরা করেছিলেন সেটা দার্জিলিঙে বসে করতে অসুবিধা হবে বলেই বোধহয় ক্ষুব্ধ ড. গোস্বামী! তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, সিপিএম জমানায় অনেকেই একই জায়গায় একই পদে থেকে গিয়েছেন। কেউ কেউ আজীবন এক হাসপাতালে থেকেই অবসর নিয়েছেন। এক্ষেত্রে সেরকম হলেই কি ভালো হত? সরকারি চাকরিতে বদলি হবে জেনেই সবাই যোগদান করেন। কাজ করুন। আর অসুবিধে হলে চাকরি ছেড়ে দিন।

–

–

–

–

–

–

–

–
