রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সাফল্য! টিটাগড়ে উদ্ধার  ৩৪ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ

উত্তরপ্রদেশ থেকে এবার বাংলায় ঢুকছে জাল ওষুধও! রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযানে টিটাগড়ে উদ্ধার হল প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ। মূল ওষুধের ব্যাচ নম্বর নকল করেই চলছিল জালিয়াতি। শুধু তাই নয়, অনলাইনেও জাল ওষুধের চক্র ফাঁস করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। আগরপাড়া ও নাগেরবাজারে চিহ্নিত হয়েছে দুই হোলসেলার। তাই অনলাইনে ওষুধ কেনা থেকে আপাতত বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, জাল ওষুধের এই জাল কতদূর ছড়িয়েছে, তা জানতে আদালতের নির্দেশে এবার তদন্তে নামছে সিআইডি।

ইদানিং বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে জাল ওষুধ চক্রের খোঁজ পেয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। গুণগত মানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে উদ্ধার হওয়া ওষুধ। এবার টিটাগড়ে ‘শ্রী বালাজি এন্টারপ্রাইজ’এর একটি দোকান থেকে নামী কোম্পানির প্রেশার-সুগার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ৩৪ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ উদ্ধার করেছে ড্রাগ কন্ট্রোল। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া জাল ওষুধ উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে আনা হয়েছিল। ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে সেইসব ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।  আবার, হাওড়ার এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের তদন্তে নেমে অনলাইনেও জাল ওষুধের চক্রের খোঁজ মিলেছে। অনলাইনে নামী কোম্পানির হৃদরোগের ওষুধও নাকি জাল! ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে অভিযান চালিয়ে আগরপাড়া ও নাগেরবাজারে দুই হোলসেলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের কাছ থেকে বেশ কিছু প্যাকেট উদ্ধার করেছেন, যা মূল ওষুধের অত্যাধুনিক নকল! তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দামে ছাড়ের প্রত্যাশা না করে ব্যাচ নম্বর ও ক্যাশ মেমো মিলিয়ে, ওষুধের পাতায় থাকা কিউ আর কোড স্ক্যান করে এলাকার পরিচিত দোকান থেকেই ওষুধ কেনা উচিত। রাজ্য সরকারের তরফেও সতর্কতা জারি হয়েছে।  এদিকে, জাল ওষুধের কারবারে কতদূর বিস্তৃত? কারা কারা যুক্ত? আর্থিক লেনদেন কীভাবে হয়েছে? সেইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে এই কাজে পারদর্শী তদন্ত সংস্থার সাহায্য চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে উলুবেড়িয়া এসিজেএম। সিআইডি-কে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডনযাত্রায় বামেদের হিংসা! মুখোশ খুলে দিল গণমঞ্চ

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_