আসন্ন বর্ষার মরশুমে বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে রাজ্যের সেচ দফতর নদী ও খাল খননের জন্য একটি নতুন সাশ্রয়ী মডেল গ্রহণ করেছে। এই মডেলের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ না করেই টেন্ডার ডেকে বেসরকারি সংস্থাকে নদী ও খাল সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ড্রেজিং করে তোলা পলি ও মাটি বিক্রি করতে পারবেন।

বুধবার সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে এই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, সেচসচিব মনীশ জৈন এবং পশ্চিমবঙ্গ খনিজ উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের এমডি পি. মোহন গান্ধী। বৈঠকের পর সেচমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সাল থেকে বারবার দরবার করেও ড্রেজিং খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এক পয়সাও মেলেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে আমরা এই অনন্য মডেলটি চূড়ান্ত করেছি, যা কেবল আমাদের ব্যয়ই কমাবে না, বরং আমাদের রাজস্ব আয় বাড়াতে সাহায্য করবে। বিভিন্ন জেলার ১৮০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ২৮টি খাল ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলি খননের ফলে ওঠা বালি ও পলিমাটি বিক্রি করে ১১২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোনও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না হলেও বছরে এই খাতে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের আশা করছে সেচ দফতর।

আরও পড়ুন- সপ্তাহে দুদিন কলকাতা-লন্ডন উড়ান! মমতার প্রস্তাবের পরে পরিকল্পনা শুরু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের

_


_


_

_

_

_
_

_

_