Saturday, November 8, 2025

ইরানকে ফের হুঁশিয়ারি! পরমাণু চুক্তিতে রাজি না হলে বোমা বর্ষণের হুমকি ট্রাম্পের

Date:

Share post:

ইরানকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরাসরি জানিয়ে দিলেন যে পরমাণু চুক্তিতে রাজি না হলে ইরানের উপর বোমা বর্ষণ করবে আমেরিকা। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং ইরানের আধিকারিকেরা পরমাণু চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু এই চুক্তিতে ইরান যদি শেষ পর্যন্ত সম্মত না-হয়, তবে আমেরিকা বোমা হামলা শুরু করবে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তেহরানও। সূত্রের খবর, আমেরিকা হামলা করলে তার জবাব দেওয়ার জন্য তারাও ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, দেশের নানা প্রান্তে মাটির নীচে ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করে রাখা শুরু হয়েছে।এমনকী, সেগুলি যাতে যে কোনও মুহূর্তে প্রয়োগ করা যায়, সেই বন্দোবস্তও করা হচ্ছে।যদিও ইরান সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর না-করলে ইরানের উপর কিছু আনুষঙ্গিক শুল্কের বোঝা চাপানো হতে পারে। চার বছর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম দফায় ইরানের উপর এই ধরনের শুল্ক প্রয়োগ করা হয়েছিল।ফের সেটাই ফেরাতে পারেন ট্রাম্প।তিনি বলেছেন, ওরা যদি চুক্তি না-করে, বোমা হামলা করা হবে। তবে চুক্তি না-করলে আমি ওদের উপর আনুষঙ্গিক শুল্কও আরোপ করতে পারি, চার বছর আগে যেমনটা করেছিলাম।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বার করে এনেছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করতে তরপর ট্রাম্প। এই বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইকে কিছুদিন আগে চিঠিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই চিঠিতে পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইরানকে দু’মাসের ‘সময়সীমা’ বেধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, ওই সময়সীমার মধ্যে চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানকে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু ইরান তাদের অবস্থান থেকে সরতে চাইছে না। ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়ে সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, চাপ এবং সামরিক হুমকির আবহে তারা সরাসরি কোনও আলোচনায় যেতে রাজি নয়। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনার পথ খোলা রাখা হচ্ছে। এর পরেই ট্রাম্পের এই বোমা-হুঁশিয়ারি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিল আমেরিকা-সহ ছয় শক্তিধর রাষ্ট্র— ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি এবং চিন।সেই চুক্তি অনুযায়ী বলা হয়েছিল, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে তেহরানের উপর বসানো আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকা এবং অন্য কয়েকটি দেশ। এতে উভয়পক্ষই লাভবান হয়েছিল। বর্তমানে ইরানের অভিযোগ, নিরস্ত্রীকরণের অজুহাত দিয়ে তাদের পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ‘কোপ’ মারতে চাইছে আমেরিকা এবং ইজরায়েল।

 

spot_img

Related articles

আজ সোনার মেয়ে রিচার সংবর্ধনায় সিএবির অনুষ্ঠান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন টলিতারকারাও

বাঙালি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্ব জয় করেছেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা ভালোবাসায় আপ্লুত শিলিগুড়ির...

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...