বাংলাদেশে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে

আন্দোলনে নামার আগে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনাও করেছে দলের শীর্ষ নেতারা।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ না পাওয়ায় ‘হতাশ’ বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, প্রতিটি শহর ও জেলায় সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন তারা। বিএনপি নেতাদের ধারণা, সংস্কারের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে। তবে আন্দোলনে নামার আগে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনাও করেছে দলের শীর্ষ নেতারা।তারা আশা করছেন, ওই বৈঠক থেকে তারা নির্বাচনের সময়সূচি জানতে পারবেন।
অভিযোগ, সংস্কারের দোহাই দিয়ে আরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভোট আয়োজনের চেষ্টাই করছেন না। সূত্রের খবর, ইউনূসকে চাপে রাখতে এ বার বিএনপি বাংলাদেশ জুড়ে বড় আন্দোলনের পথে নামার পরিকল্পনা করেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনা করে আমাদের শরিক দল ও সম মনস্ক অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করব। তারপর আমরা জনগণের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দেব।
গত ২৫ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক ভাষণে ইউনূস উল্লেখ করেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহ করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক ও দলীয় কর্মসূচি নিয়ে পরবর্তী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকা তাদের রাজনৈতিক অদক্ষতার পরিচায়ক। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য।রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব শুধুমাত্র নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপের মাধ্যমেই। কারণ, তখনই শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবে।

গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে প্রবল গণ বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। ভারতে চলে আসেন তিনি। তারপর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশে। তাদের বক্তব্য ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের পর সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশে সরকার নির্বাচন করবে জনগণই। কিন্তু এখনও বাংলাদেশে কোনও ভোট হয়নি। বিএনপি-সহ রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, আবশ্যিক সংস্কারগুলি করে নির্বাচন ঘোষণা করে দিক অন্তর্বর্তী সরকার। বাকি প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হোক নির্বাচিত সরকারকে।