মহানগরের ব্যস্ত জনবহুল রাস্তায় মত্ত পরিচালকের গাড়ি বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিয়েছে ছ’জনকে, মৃত্যু হয়েছে একজনের। রবিবারের এই ঘটনার জেরে সোমবার থমথমে টেলিপাড়া। এদিন বন্ধ রইলো সান বাংলা সিরিয়াল ‘ভিডিয়ো বৌমা’র (Video Bouma) শুটিং! গ্রেফতার হয়েছেন ধারাবাহিকের পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস (Siddhant Das) ওরফে ভিক্টো। কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু ঘাতক গাড়ির ভেতরে এতটাই মত্ত অবস্থায় ছিলেন যে তাঁকে সামলানো যাচ্ছিল না। রবিবারের সেই ভিডিও ভাইরাল সত্যটা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ) হওয়ার পর সোমবার আলোচনায় বসে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ (Sun Bangla)। গ্রেফতার করা হয়েছে পরিচালককে। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ ইন্ডাস্ট্রি।

রবিবার সকালে খাস কলকাতার ভরা বাজারে যেভাবে ছোট পর্দার জনপ্রিয় পরিচালক এবং প্রযোজক মত্ত অবস্থায় গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন তা নিন্দনীয় বলছেন অভিনেতাদের একাংশ। টলিপাড়ার অভিনেতা-শিল্পীদের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পর থেকে সেই গাড়ির যেসব ছবি ভিডিয়ো ছড়িয়ে করেছে সমাজ মাধ্যমে তার মধ্যে বেসরকারি চ্যানেলের শ্রিয়া বসুর বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, কার্যকরী প্রযোজক মত্ত অবস্থায় বার বার পড়ে যাচ্ছেন, আলুথালু তাঁর পোশাক। পুলিশের গাড়িতে ওঠার মতো শক্তিও তাঁর অবশিষ্ট নেই। মহিলারা শ্রিয়ার চুলের মুঠি ধরে মারছেন, ধাক্কা দিচ্ছেন। গোটা ঘটনায় পরিচালক প্রযোজকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে এক হাত নিয়ে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। তাঁর কথায়, ‘ যাঁরা সে রাতের পার্টিতে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক, কেউ বাচ্চা নন। তার পরও কি সামান্য দায়িত্ববোধ আশা করা যায় না!’ পাশাপাশি অভিনেত্রী এটাও বলেছেন, চেহারার গড়ন, প্রতিষ্ঠিত চাকরি ও ছোট পোশাকের জন্যই শ্রিয়া সমাজ মাধ্যমের ‘কনটেন্ট’ হয়ে উঠেছেন। প্রশ্ন উঠেছে সমাজমাধ্যম আর কলকাতার সমাজ-মানসিক স্থিতি নিয়েও। গোটা ঘটনায় কালিমালিপ্ত বাংলা বিনোদন জগত। ‘ভিডিয়ো বৌমা’র ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন কলাকুশলীদের একাংশ। যদিও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কোনও কথা বলেননি।

–

–


–


–

–

–

–
–

–
