মঙ্গলবার থেকে গোটা দেশে লাগু হল ওয়াকফ সংশোধনী আইন। কেন্দ্রের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে। মঙ্গলবার এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হলেও জনতার ক্ষোভের আগুনে পোড়ে পুলিশের দুটি গাড়ি। চলে ইটবৃষ্টি। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসনকে ফোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধায়ককে অতিসত্ত্বর ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবরাই স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।

মঙ্গলবার জঙ্গিপুর পিডব্লিউডি ময়দান থেকে ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভের জন্য আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিলটি জঙ্গিপুর থেকে শুরু হয়ে ওমরপুরের দিকে যেতে যেতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়, তবে তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপর পুলিশ সাময়িকভাবে পিছু হটে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে উত্তেজনার পর বিধায়ক জাকির হোসেনকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জাকিরকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। জাকির বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বলেছেন তিনি। আমি স্থানীয়দের শান্তি বজায় রাখতে বলছি। আমি কলকাতায় আছি। বুধবার সকালে এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকে বসব।”

আরও পড়ুন- বিজেপি-সিপিএমের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বুধবার শহরে প্রতিবাদ-মিছিল তৃণমূল ছাত্র-যুবদের


_

_

_

_

_

_

_

_