চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ খেলতে গিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকেই কী হারাচ্ছে আমেরিকা, প্রশ্ন গোটা বিশ্বের বাণিজ্য মহলে। প্রায় ৬০ টি দেশের ওপর শুল্ক (tariff) চাপানোর পরে আবার পিছু হটেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। কিন্তু চিনের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোকে যে ভালোভাবে নেননি সি জিনপিং (Xi Jinping), তা স্পষ্ট হয়ে গেল শুক্রবার পাল্টা আমেরিকার দ্রব্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোয়। অর্থনীতিবিদরা দাবি করছেন চিন থামার পাত্র নয়। আর তাতেই ব্যাপক পতন মার্কিন শেয়ার বাজারে।

আমেরিকাকে ‘গ্রেট’ (Great) বানাতে গিয়ে ক্রমশ কী পতনের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? চলতি সময়ে মার্কিন দ্রব্য বিদেশের বাজারে বিক্রির দৌড়ে শুল্ক চাপানোকেই একমাত্র পন্থা হিসাবে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনবসতিহীন দ্বীপের উপরও চেপেছে মার্কিন শুল্ক। চিনের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপাতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল লাল সেনার দেশ। শুল্ক ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। সমস্ত দেশের উপর শুল্ক প্রয়োগ ২ এপ্রিল নয়, আরো ৯০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন।

শুল্ক যুদ্ধ যে চিন হালকা ভাবে নিচ্ছে না শুক্রবার তা বুঝিয়ে দেওয়া হল। চিনের অর্থনীতিবিদদের দাবি, চিনের সভ্যতা ৫০০০ বছর পুরনো। যখন আমেরিকার কোনও অস্তিত্বই ছিল না। ফলে কোনভাবেই চিনের পিছিয়ে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। ঘোষণা হল মার্কিন দ্রব্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক (tariff), যা আগে ছিল ৮৪ শতাংশ।

শুক্রবার সকালের চিনের এই ঘোষণা হওয়ার পরই আমেরিকার শেয়ার বাজার খুলতেই দেখা গেল ব্যাপক প্রভাব। ফের একবার ধসের মুখে মার্কিন শেয়ার বাজার। ডাও নামলো ১০১৫ পয়েন্ট অর্থাৎ ২.৫ শতাংশ। অন্যদিকে নাসদাক কম্পোজিট নামলো ৪.৩১ শতাংশ।


বিপদ বুঝে এবার আলোচনার বার্তা ট্রাম্পের। শুল্ক যুদ্ধ না চালিয়ে আলোচনার টেবিলে ডাক জিনপিংকে। যদিও চিনের অর্থনীতিবিদদের দাবি, আমেরিকার সঙ্গে কোনও আলোচনা চায় না তারা।

–

–

–

–

–

–
