আগামী ২০ এপ্রিল থেকে শরু হবে সুপার কাপ(Super Cup)। সেখানেই প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেরালার(Kerala Blasters) বিরুদ্ধে নামার আগে আপাতত প্রস্তুতি ম্যাচ জিতলেও চিন্তা কিন্তু কাটছে না ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কারব্রুজোঁর। রবিবার সকালে চেন্নাইয়িন এফসির(Chennaiyin Fc) বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে নেমছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচই ১-০ গোলে জিতেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আনোয়ার আলি(Anwar ali) গোল পেয়েছেন। কিন্তু সই ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে গুরপত্বপূর্ণ ফুটবলার নাওরেম মহেশ(Naorem Mahesh) চোট পেয়েছেন। আর চিন্তা বাড়ানোর জন্য এটা কিন্তু যথেষ্ট।

এই চোট আঘাতের জন্যই এবারের আইএসএলে(ISL) চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল(East bengal)। সেখানে নয় নম্বর স্থানে থেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে সামনে রয়েছে সুপার কাপ। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।সেই মতো নিজেদের প্রস্তুতিও সারছে তারা। আইএসএলের আরেক দল চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে একট প্রস্তুতি ম্যাচও খেলা হয়ে গেল। সেই ম্যাচে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল জিতেছে। কিন্তু মহেশের চোটটা চিন্তার কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের কাছে। খেলা কালীনই পায়ে চোট পেয়েছিলেন নাওরেম মহেশ(Naorem Mahesh)। তবে সেই চোট কতটা গুরুতর তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। রবিবার অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের আর কোনও প্রস্তুতি নেই। আবার সোমবার থেকে প্রস্তুতিতে নামবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আপাতত মেডিক্যাল টিম দেখছে নাওরেম মহেশকে(Naorem Mahesh)।

২০ মার্চ কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সুপারকাপে শুরু থেকেই নক আউট প্রতিযোগিতা। সেখানে জিততে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনালে ডার্বি হওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে। যদিও অন্যদিকের ম্যাচে মোহনবাগানকেও জিততে হবে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। সমস্ত দিক বিচার করেই এদিন চেন্নাইয়িন এফসির(Chennaiyin Fc) বিরুদ্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য আক্রমণ বিভাগের কেউ গোল পাননি। একমাত্র গোলটি করেছেন আনোয়ার আলি। এদিনই দলের আর কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে, সেসবই দেখে নিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ।

সোমবার থেকেই সেই মতোই তাঁর দল নিয়ে মাঠে নেমে পড়বেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। সুপার কাপ থেকে লাল-হলুদ ব্রিগেড ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

–

–

–

–

–

–

–

–