ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের জেরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্ররোচনার খেলা খেলবে, এমনটা ইঙ্গিত বারবার দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে অতিরিক্ত সচেতন পুলিশ। ভাঙড়ে আন্দোলনের নামে গুণ্ডাগিরি চালানোর চেষ্টা করে আইএসএফ। পুলিশের গাড়ির উপর হামলাও চালায়। সতর্ক পুলিশ প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

সোমবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কলকাতায় রামলীলা ময়দানে ওয়াকফ বিরোধী জমায়েত ছিল দলের। ভাঙড় থেকে মিছিল করে সেই সভায় যোগ দিতে আসার চেষ্টা করে একদল আইএসএফ সমর্থক। পুলিশ তাদের আটকায়

পুলিশের কাছে আগেই এই মিছিল থেকে অশান্তি ছড়ানোর খবর থাকায় বাসন্তী হাইওয়ের উপর ভোজেরহাটে মিছিল আটকায় পুলিশ। এতেই আইএসএফের গুণ্ডাবাহিনী পাথর ছোড়া শুরু করে পুলিশের উপর। বৈরামপুরের কাছে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করে তাদের কলকাতা মিছিল নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি ছিল না।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগায় একের পর এক পাঁচটি পুলিশের বাইকে। উল্টে দেওয়া হয় প্রিজন ভ্যান। বৈরামপুরের পরে শোনপুরেও অশান্তি তৈরির চেষ্টা হয়। সেখানেও পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন – রাজ্যে কর্মসংস্থানে নতুন দিশা, কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ পেলেন ৭৫ লক্ষ জবকার্ডধারী

_

_

_

_

_

_

_