গোটা বিশ্বে বিক্রি হওয়া পাঁচটি আইফোনের (iPhone) মধ্যে একটি ভারতে তৈরি। বর্তমান পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। কত কয়েক বছরে স্মার্টফোন (smartphone) থেকে অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির উৎপাদনে অনেকটাই বাজার ধরে ফেলেছে ভারত। এবার সেই বাজারে বাড়তি মুনাফা দিতে চলেছে আমেরিকা ও চিনের (China) শুল্ক যুদ্ধ। যার ফলে সস্তা হওয়ার সম্ভাবনা ভারতে তৈরি স্মার্টফোন। এমনকি চীন থেকে আমদানি করা স্মার্টফোনেরও দাম কমার সম্ভাবনা।

বিশ্বের একাধিক দেশের উপর পাল্টা শুল্ক চাপালেও আমেরিকার লক্ষ্য যে চিন ছিল তা স্পষ্ট হয়ে যায় চীনের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপানোতেই। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা সি জিনপিং (Xi Jinping) মার্কিন দ্রব্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করলে ফের পিছিয়ে যান ট্রাম্প (Donald Trump)। কয়েক মাসের জন্য চিনে তৈরি মোবাইল বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের উপর শুল্কের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আর তাতেই ট্রাম্পের ভয় বুঝতে পেরে সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহারের হুশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে চিন।

বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের শুল্ক যুদ্ধের মধ্যেই ইলেকট্রনিক্সের বাজারে নতুন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান চিনের উৎপাদিত দ্রব্যে আমেরিকা যে পরিমাণ শুল্ক (tariff) চাপিয়েছে, তাতে মার্কিন বাজারে দাম বাড়বে চিনে তৈরি স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা কমবে। আর সেই বাজার ধরে ফেলবে ভারত। ইতিমধ্যেই অ্যাপেল ইন্ডিয়া (Apple India) আইফোনের উৎপাদন বাড়ানো শুরু করেছে। যা ইঙ্গিত দেয় ভারতের স্মার্টফোনের (smartphone) বাজার অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখার।

দেখা দিয়েছে আরও একটি সম্ভাবনা। আমেরিকার বাজারে চিনে তৈরি স্মার্টফোনের (smartphone) বাজার কমতে পারে আন্দাজ করেই এবার অন্যান্য দেশে নিজেদের তৈরি স্মার্টফোন বেশি করে বিক্রি করার প্রস্তুতি শুরু করেছে চিন। সেই প্রস্তুতিতেই বিভিন্ন চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ছাড়ের পরিমাণ পাঁচ শতাংশ করে বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। যেখান থেকে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা করা যায় ভারতে এবার স্মার্টফোনের দাম কমার সম্ভাবনা।

–

–

–

–

–

–

–
