নববর্ষে মোহনবাগানের বারপুজো। গোটা দিন ধরে সবুজ-মেরুণ ক্লাবে ছিল সাজো সাজো রব। সদ্য দ্বিমুকুট হওয়ার আনন্দ। সেইসঙ্গে আগামীতে পথ চলার শপথ। সব মিলিয়ে মোহনবাগানে ছিল ফিলগুড পরিবেশ। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়েই এদিন আবেগতাড়িত মোহনবাগান সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। তাঁর গলা দিয়ে উঠে এল নানান অতীতের স্মৃতিচারণ। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের সাফল্য নিয়েই উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন ক্লাবের সহ সভাপতি।

বারপুজো হওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল মোহনবাগানে। সেইসঙ্গে ছিল উপচে পড়া সবুজ-মেরুন সমর্থকদের ভিড়ও। সেখানে দাঁড়িয়েই আবেগতাড়িত মোহন সহ সভাপতি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিছু স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।

তিনি বলছিলেন, “শৈশবে দাদুর হাত ধরে এই ক্লাবে আসতাম। বয়স্ক মানুষেরা লনে বসতেন, একটা আলাদা আভিজাত্য। এরপর গ্যালারী। তারপর এদিন ওদিক হতে হতে ঘটনাচক্রে এই কমিটির এখন সহ সভাপতি আমি। এটা কিন্তু ভগবানের আশীর্বাদ। মোহনবাগান পরিবার থেকে উঠে এসে একজন অতি সাধারণ পরিবারের ছেলে। আমার কিন্তু কোনও প্রভাবশালী অতীত নেই। যে আমি এখানে এসে সহ সভাপতি হয়ে গেলাম। এখানে যারা কাজ করেছেন বা করছেন সকলে মোহনবাগান প্রাণ”।

কয়েকদিন আগেই আইএসএলে দ্বিমুকুট জিতেছে মোহনবাগান। সেই রেশ এখনও চলছে। তা নিয়েও উচ্ছ্বসিত মোহনবাগান ক্লাবের সহ সভাপতি সহ প্রাক্তন ফুটবলাররাও। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মানব ভট্টাচার্য, বিদেশ বোসের মতো প্রাক্তন তারকা ফুটবলারার। ছিলেন সচিব দেবাশিস দত্তও।

তিনি আরও জানান, “এবারে যা রেকর্ড চলছে। এখন এমন একটা সময় চলছে, অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে মোহনবাগান যা যা করেছে। ফুটবলে এই ঐতিহাস্ক সাফল্য। হকি, ক্রিকেট, পরিকাঠামো উন্নয়ন, যতটা সম্ভব মোহনবাগান উন্নত করে দিয়েছে। বাকি আপনারা সবাই দেখেছেন এবং আমি আবার বলব গত ফাইনাল যেটা আমরা খেলে এলাম এটা কিন্তু ভারতবর্ষের অন্য কোনও ক্লাব পারবে না, যে গোটা যুবভারতী স্টেডিয়ামটা মোহনবাগান সমর্থকরা ভরিয়ে দিয়েছে। ইতিহাস মোহনবাগানের, ঐতিহ্য মোহনবাগানের”।

মোহনবাগান ক্লাবের লনে এদিন সাজানো তাদের ঐতিহ্যশালী দুটো ট্রফিই। আইএসএল লিগ শিল্ড থেকে আইএসএল কাপ। আর সেটাই দেখে উচ্ছ্বসিত মোহন জনতা। এবার সামনে সুপার কাপ। সেখানেই জয়ের লক্ষ্যে ঝাপাতে মোহনবাগান।

–

–

–

–

–

–