Monday, August 11, 2025

কে বেশি ভারত’প্রেমী’! চিনের প্রতিশ্রুতির পাল্টা আমেরিকার ভান্স

Date:

Share post:

বিশ্ব বাণিজ্যের রাশ কার হাতে থাকবে – চরম দ্বন্দ্বে আমেরিকা, চিন। আর সেই দ্বন্দ্বে ভারতের গুরুত্ব যে কতটা স্পষ্ট ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের ভারতকে কাছে টানার প্রতিযোগিতাতেই। ভারতের উপর চাপানো আমেরিকার শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে ভারতে আসছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স (J D Vance)। তার আগেই তড়িঘড়ি একাধিক ভারত-মুখী ঘোষণা করে ভারতকে নিজেদের পক্ষে করে রাখার পথে সি জিনপিং (Xi Jinping) প্রশাসন। আখেরে যদিও একদিকে আমেরিকা, অন্যদিকে চিনের বাজারে ভারতের মুনাফা বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত বা লাদাখ এলাকা নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাখারও পথে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)।

ভারত থেকে আমদানি করা দ্রব্যের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর পরও চাপ জারি রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারতের অটোমোবাইলের উপর আরও ২৭ শতাংশ শুল্ক জারি রাখার ঘোষণা করা হয়। এরপরই ভারতের বিদেশমন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রকের তরফে শুরু হয় আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা। এবার ২১ এপ্রিল ভারতের আসছেন ট্রাম্পের ডেপুটি জে ডি ভান্স (J D Vance)। তাঁর চারদিনের সফরের প্রধান উদ্দেশ্যই ভারতের সঙ্গে আর্থিক ও বাণিজ্যিক দিকগুলি নিয়ে আলোচনা। হতে পারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও। ইতিমধ্যেই ভারত আমেরিকার উপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। পাল্টা ট্রাম্পের ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতের সুবিধা উপভোগ করছে ভারত।

এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো হলে চাপে পড়বে চিন। প্রতিবেশী দেশ তাই তড়িঘড়ি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতিতে নজর দিলো। সীমান্তের বিবাদমান এলাকাগুলিতে নজর চিনের। এ বছর থেকে সাধারণ নাগরিকেরা কৈলাস ও মানস সরোবরে (Manas Sarovar) তীর্থ যাত্রা করতে যেতে পারবেন, ইঙ্গিত দেওয়া হল বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) তরফে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এই যাত্রা নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এবার শুল্কের লড়াইতে সেই পথ খুলতে বদ্ধ পরিকর ভারত।

তবে বাণিজ্যে আরও বেশি নজর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক তৈরিতে আরও বেশি আগ্রহী চিন। ইতিমধ্যেই চিন থেকে ভারতের আমদানি (import) এক লাফে বিরাট বেড়ে গিয়েছে। এক বছরে চিন থেকে আমদানি বেড়েছে ২৫ শতাংশ। উল্টোদিকে ভারত থেকে চিনে রফতানি (export) কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। আগে যেখানে ১৪.৩ বিলিয়ন ডলারের দ্রব্য ভারত চিনকে রফতানি করত, সেখানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় নিজেদের জিনিস বিক্রি করে মালামাল হয়েছে চিন। আর ভারতে তৈরি জিনিসের ক্রমশ বিক্রি কমেছে চিনের বাজারে। তাতে ভারত যে চিনের প্রতি বিমুখ হতে পারে, সেই আশঙ্কা করে এবার চিনের বাজার ভারতের জন্য খুলতে প্রস্তুত বলে জানাচ্ছে চিন। ইতিমধ্যেই ভিসা নীতিতে বদলে তার ইঙ্গিত মিলেছে। সেক্ষেত্রে ভারত কোন পক্ষ নেবে – আমেরিকা না চিন, সেই সিদ্ধান্তও খুব শীঘ্র হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

spot_img

Related articles

পুলিশের উপর বিরোধীদের হামলা-কুকথা: মঙ্গলবার পথে নামছে পুলিশ পরিবার

আন্দোলনের নামে কলকাতা শহর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা আর সেটার রুখতে গিয়ে বারবার আক্রমণের শিকার পুলিশ...

বারবার মিছিল-মিটিংয়ের অনুমতি চেয়ে মামলায় বিরক্ত বিচারপতি! শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিল না হাইকোর্ট

পুলিশ কোনও সভা বা মিছিল করার অনুমতি না দিলেই বিশেষত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টের দ্বারস্থ...

‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’-এ মন্ত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’-এ এবার এলাকার নির্বাচিত মন্ত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।...

রবি মরশুমে পেঁয়াজ উৎপাদনে রেকর্ড রাজ্যের, আশা দাম কমার 

রাজ্যে এ বছর রবি মরশুমে পেঁয়াজ উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়িয়েছে—যা এখন পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড। উৎপাদনের পাশাপাশি সংরক্ষণেও...