সিপিএমের ধান্দাবাজির পর্দাফাঁস হয়ে গেল। ধরা পড়ে গেল সিপিএমের মদতপুষ্ট আইনজীবীদের দ্বিচারিতা। শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে সিপিএমের আইনজীবী-নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikashranjan Bhattacharya) ভণ্ডামিকে রাস্তায় এনে দাঁড় করালেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার সমাজ মাধ্যমে সিপিএমের (CPIM) সেই ধান্দাবাজি ও দ্বিচারিতা তুলে ধরে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

সমাজ মাধ্যমে কুণাল বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সিপিএম (CPIM) এবং সিপিএমের আইনজীবী নেতাদের মুখোশ খুলে দেন। লেখেন,
“সিপিএমের ধান্দাবাজি আর দ্বিচারিতা দেখুন। এইসব SLST শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। চাকরি চাই বলে এঁদের আন্দোলনেও ছিল সিপিএম। ওদের উকিলরা বিপুল টাকাও নিয়েছে বলে অভিযোগ। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জেনে যখন এঁদের চাকরির ব্যবস্থা করলেন, স্কুল পেলেন এঁরা, তখন এই সিপিএমই এঁদের চাকরি আটকে কোর্টে জটিলতা তৈরি করছে। এঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া আইনজীবী-নেতারাই এখন এঁদের চাকরির বিরোধিতা করছেন। এ নিয়েই শুক্রবার ক্ষোভ, উত্তেজনা। সেখানে সিপিএমের দোসর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম চেঁচালেন, ‘মমতাকে ডেকে আন।’ সেই শামিমরা একসময় ওঁদের মঞ্চে ছিলেন। এই হল দু’মুখো সাপ সিপিএম।“

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ছবিও পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। লেখেন, “ছবিগুলো দেখুন। ওই কর্মপ্রার্থীদের জিজ্ঞেস করুন। আদালত ওঁদের ন্যায়বিচার দেয়নি। পক্ষপাতদুষ্ট কাজ চলছে। বিচারে আস্থা থাকুক, সেই আস্থা রাখার দায়িত্ব বিচারপতিরও। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, কে যে কখন ইস্তফা দিয়ে কোন দলের এমপি হতে গেলেন, সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা তো রয়েছে।“ কুণালের দাবি, “অবিলম্বে রাজনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে এঁদের স্থগিতাদেশ তুলে চাকরি করতে দেওয়া হোক। এঁরা যোগ্য। এঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই নেই। সিপিএমের আইনি ছোবলে এতগুলি প্রার্থীর জীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সিপিএম চাকরি খাবার রাজনীতি করছে এঁদের সঙ্গে। জিজ্ঞেস করুন, তাহলে এঁদের মঞ্চে ওরা নাটক করতে গিয়েছিল কেন?“

অভিযোগ, শুক্রবার শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা (SLST) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দুষ্কৃতী পাঠান বিকাশরঞ্জন-শামিমরা। নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে বলে চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখানোর সময়, সমাজ বিরোধীদের দিয়ে তাঁদের মাথা ও মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

শুক্রবার সিপিআইএমের গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা শনিবার দেখা করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে। এই চাকরির প্রক্রিয়ায় এক সময় তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন। আর সেখানেই তাঁরা তুলে ধরেন কীভাবে আজ যাদের চাকরি আটকাতে তৎপর বিকাশ ভট্টাচার্য (Bikash Bhattacharya), তাঁদের হয়ে লড়াই করে ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন আইনজীবী হিসাবে। এমনকি শুক্রবার গুন্ডাগিরি চালানো আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এই আন্দোলনকারীদের পক্ষে লড়াই করেই টাকা রোজগার করেছিলেন। এবং তাঁদের চাকরি হওয়ার পরে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন।

সিপিআইএম আইনজীবী নেতাদের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করে দেন, দুই উদ্দেশ্যে এই আচরণ বাম নেতাদের। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চাকরির পথ করে দিয়েছেন। সেই পথকে আটকানো। এবং দ্বিতীয়ত, যতদিন এই চাকরির ইস্যু জিইয়ে রাখা যাবে ততদিন আইনজীবী নেতাদের রোজগারের পথ পরিষ্কার হবে।

–

–
