গোটা রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে বামেরা। রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে এত বছরেও কোনও বার্তা দিতে পারেনি সিপিআইএম। নিজেদের দলের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ যে রাজনৈতিক দল, তাদের থেকে রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যাশাও বৃথা। তারই নজির রইল কসবা সিপিআইএম (CPIM) পার্টি অফিসে। দলের বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মাথা ফাটল বাম কমরেডের। কারো আবার হাতে এমন কামড় পড়ল যা সেলাই দিতে হল। প্রবীণ নেতাদের এই হাতাহাতি স্পষ্ট করে দিচ্ছে রাজ্যে শূন্য থেকে উঠে দাঁড়ানোর বদলে এবার নিজেদের কর্মীদের ভোটটুকু পাওয়ার আশা হারাচ্ছেন বামেরা।

কসবার (Kasba) সিপিএমের এরিয়া কমিটির (CPIM Area Committee) বৈঠকে অশান্তির ঘটনা আগেও ঘটেছে। কয়েক মাস আগে বৈঠকে অশান্তির মধ্যেই এক সিপিএম নেতা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাছাড়াও রাজ্যে এই ধরনের অশান্তি সাম্প্রতিককালে একেবারেই বিরল নয়। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় (Jangipara) জেলা সম্মেলনে এমন গন্ডগোল হয়েছিল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সম্মেলন মঞ্চে প্রবীণ নেতা নির্মল মুখোপাধ্যায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কয়েক দিন বাদে তাঁর মৃত্যুও হয় হাসপাতালে।

এবার অশান্তি আবার সেই কসবার (Kasba) ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের এরিয়া কমিটির (CPIM Area Committee) দফতর। শনিবার রাতে কমিটির বৈঠক চলছিল সেখানে। কথা কাটাকাটি থেকে হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গেল হাতাহাতি। একটা সময়ের পর ঘটনা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল যে সেখানে কারও হাতে সেলাই পড়ল, আবার কারও কপালে ব্যান্ডেজ। বৈঠক মাঝপথেই পণ্ড। আগেরবার যে নেতা অশান্তির জেরে হাসপাতালে ভর্তি হন, শনিবার রাতেও সেই নেতার হাতেই কামড় পড়েছে। দিতে হয়েছে সেলাই। একদিকে যখন বাংলার বাম নেতারা দেশের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তখন নিজেদের রাজ্যেই তাঁদের রাজা তোর কাপড় কোথায় – অবস্থা।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
