বিজন সেতুতে ১৭ জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে পরিকল্পিতভাবে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন ইস্তফা দূরের কথা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলেও যাননি। নিহতেরাও ন্যায়বিচার পাননি। এখন সিপিএমের আজকের কমরেডরা অতীত ভুলে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসে’র নাটক করছেন। বুধবার আনন্দমার্গী গণহত্যার ৪৩তম বছরে আরও একবার গণহত্যাকারী সিপিএমকে সেদিনের কথা মনে করিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সিপিএমকে একহাত নিয়ে প্রশ্ন ছোঁড়েন, এই সিপিএম আজ উই ওয়ান্ট জাস্টিসের নাটক করে কী করে? এই CPIM একটা গণহত্যাকারী, নারীঘাতী, দলতন্ত্রের কাপালিক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল (Kunal Ghosh) লেখেন, আজ ৩০ এপ্রিল। বিজন সেতুতে ১৭ জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসীনিকে পিটিয়ে, জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ৪৩ বছর। সেদিন নির্মমভাবে দুই সন্ন্যাসিনী-সহ ১৭ জন সন্ন্যাসীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিনের সেই নির্মম গণহত্যার পরও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দেননি। ইস্তফা তো দূরের কথা, সেদিন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলেও যাননি। আজও নিহতেরা ন্যায়বিচার পাননি। তার কারণ গণহত্যার পথ সমস্ত প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল।

অভিযোগ, সবকিছু পরিকল্পিতভাবে করেছিল সিপিএম। প্রাথমিক এফআইআর সেকথা বলছে। কিন্তু সরকারি মদতে সব ধামাচাপা এবং লোপাট করে দেওয়া হয়। কুণালের কথায়, তখন কম্পিউটার ছিল না। হাতে লেখা ফাইল। সেগুলি লোপাট করে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের মধ্যে যাঁরা সমর্থন করেননি, ক্ষোভ জানিয়েছিলেন, সেই আধিকারিকদেরও ছাড়েনি সিপিএম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলাশাসক শের সিং, তিলজলা থানার ওসি গঙ্গাধর ভট্টাচার্যকে কোণঠাসা করা হয়েছিল। গঙ্গাধরবাবুকে ওই ষড়যন্ত্রী মহল মুখ বন্ধ করাতে পরে খুন করে দেয়। এই সিপিএমের আজকের কমরেডরা অতীত ভুলে আবার উই ওয়ান্ট জাস্টিসের নাটক করেন। বিজন সেতুতে সন্ন্যাসীদের গণহত্যার কথা সকলকে মনে করিয়ে দিয়ে সিপিএমকে গণহত্যাকারী, নারীঘাতী, দলতন্ত্রের কাপালিক বলে তকমাও দেগে দেন তিনি।

আজ 30 এপ্রিল, বিজন সেতুতে 17জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী/সন্ন্যাসীনিকে পিটিয়ে, জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার 43 বছর। সেদিন ইস্তফা দূরের কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলেও যাননি। নিহতেরা ন্যায়বিচার পাননি।
অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে করেছিল সিপিএম।
প্রাথমিক FIR সে কথা বলছে। কিন্তু সরকারি মদতে সব…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 30, 2025
–

–

–

–

–

–

–

–