অপারেশন সিন্দুর-এ কমপক্ষে ১০০ পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এখন এই অভিযান শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে এই কথা জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত না থাকলেও বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)।

এদিন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই অভিযানে কমপক্ষে ১০০ পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান ফের হামলা চালালে প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত ভারত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বিরোধীদের তরফে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা। প্রধানমন্ত্রী কেন এই সর্বদল বৈঠকে থাকলেন না? প্রশ্ন তোলেন খাড়গে। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বার্তা পড়ে শোনান রাজনাথ। সেখানে মোদি লেখেন, “কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন।”

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়েও কেন্দ্রকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদ অধিনেশন ডেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা দেওয়া হোক- দাবি তোলেন রাহুল গান্ধী। যদিও সেই প্রস্তাব নিয়ে সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বৈঠকে রাজনাথ সিং জানান, অপারেশন সিন্দুর একেবারে নিখুঁতভাবে পাক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ভারত যুদ্ধ চায় না। কিন্তু পাকিস্তান কোনওরকম আঘাত করে তীব্র প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত ভারত। বৈঠক শেষে সব বিরোধী দলই সমবেতভাবে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দেন।

সরকারের তরফে কিরেন রিজিজুও জানিয়েছেন, বিরোধীরা অনেক পরিণতমনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছি আমরা।” খাড়গে বলেন, “সরকারআমাদের কিছু গোপন তথ্য দিয়েছে, যা প্রকাশ করা যাবে না। তবে আমরা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।”
–

–

–

–

–


–

–

–

–
