ভারত- পাক উত্তেজনার আবহে সেনাবাহিনীর অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করার জেরে চাকরি থেকে সাসপেন্ড হতে হল চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকাকে। জানা গেছে মিস এস লোরা (Miss S Lora) নামে অভিযুক্ত ওই অধ্যাপিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ইংলিশ, ভার্বাল অ্যাপটিটিউড ও শিশু সাহিত্যের শিক্ষা দিতেন। পহেলগাম হামলার (Pahelgam Attack) পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসেবে যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ‘অপারেশন সিন্দুর ‘ সফল করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF), তখন নিজের whatsapp স্ট্যাটাসে এই অধ্যাপিকা সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য দিয়ে দেশ বিরোধী, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য পোস্ট করেন।

চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ের (SRM University Chennai) বহিষ্কৃত অধ্যাপিকা মিস এস লোরা (S Lora) তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ভারত এই অপারেশন চালাতে গিয়ে নাকি শিশুহত্যা করেছে। এছাড়াও তাঁর দাবি, দুজন সাধারণ ব্যক্তি নাকি আহত হয়েছেন। যেখানে ভারতীয় সেনা তথ্য, ছবি, ভিডিও দিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা। কোনও সাধারণ মানুষ কিংবা পাকিস্তানি সেনাকে মঙ্গলবার মধ্যরাতের অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে আঘাত করা হয়নি। তবে অধ্যাপিকা সেই সব কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে একের পর এক ভুয়ো পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ভারতের পাকিস্তানের সঙ্গে এই অশান্তির জেরে নাকি অর্থনীতির বেহাল দশা, লকডাউন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ইত্যাদি হতে চলেছে আগামী দশকে। দ্রুত তাঁর পোস্ট ভাইরাল হয়। এরপরই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দেশবিরোধী মন্তব্য বিতর্কিত পোষ্টের জন্য ওই অধ্যাপিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে কোনও ধরনের প্ররোচনামূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করা যাবে না। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৭ মে অমিত শাহ দশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। সেখানে জানানো হয় সমাজ মাধ্যমে দেশবিরোধী পোস্ট দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলেও স্পষ্ট করে দেন। গত বুধবার সন্ধেবেলাতেই এক্স প্ল্যাটফর্মে ওই অধ্যাপিকার নামে অভিযোগ করে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। ট্যাগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও। এরপরই অভিযুক্তের সাসপেন্ড নোটিশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা হয়েছে।
–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–