বিকাশ ভবনে অবস্থানকারী শিক্ষকদের মুখ পুড়ল হাইকোর্টে। বুধবার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, মাস্টারমশাইদের কাছ থেকে মানুষ শিক্ষকসুলভ আচরণ আশা করেন। সেটাই করা উচিত।

বিকাশ ভবনে দুই শিক্ষকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, পুলিশ যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে, তাদের যেতে হবে। যাঁরা বিকাশ ভবনে চাকরির জন্য আসছেন, তাঁদের আটকানো যাবে না। যেভাবে আন্দোলনের নামে সন্তানসম্ভবাকে আটকে রাখা হয়েছিল সেটাও সমর্থনযোগ্য নয়। রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, সংযত আচরণ না করলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, বিকাশ ভবনের সামনে এত সংখ্যক লোক নিয়ে জমায়েত করা যাবে না! লোকসংখ্যা কমাতে হবে। বড় সংখ্যায় জমায়েতের জন্য বিকল্প কোনও জায়গা খুঁজতে বলা হয়েছে আন্দোলনকারীদের। আদালত জানিয়েছে, বিকাশ ভবনের সামনে চাইলে কয়েক জন বসতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের জমায়েতে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। একটা পর্যায়ে বিক্ষুব্ধেরা বিকাশ ভবনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। পরে দরজায় আলাদা করে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। ভিতরে আটকে পড়েন শতাধিক কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ। রাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিকাশ ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। সে দিনের ঘটনায় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ এনে কয়েক জনকে তলব করেছিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুদীপ কোনার এবং ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল। পুলিশি হাজিরা এড়িয়ে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন – শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা! রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন-পেনশন বিল এবার অনলাইনেই

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
