‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’—এই প্রবাদকে সত্যি প্রমাণ করল কলকাতার এক ১২ বছরের কিশোর, উমাঙ্গ গালাডা। নিজের জীবন দিয়ে না হলেও, মৃত্যুর পর সমাজকে আলো দেখিয়ে গেল সে। হয়ে উঠল বাংলার সবচেয়ে কনিষ্ঠ অঙ্গদাতা।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিল উমাঙ্গ। চিকিৎসার দীর্ঘ লড়াই শেষে এই মাসের ১৫ তারিখে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। কিডনি দাতা ছিলেন তার মা, জ্যোতি, যদিও রক্তের গ্রুপ না মেলার কারণে ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সন্তানের জন্য সেই ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রোপচারে এগিয়ে যান তিনি।

দুঃখজনকভাবে অস্ত্রোপচারের পরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় উমাঙ্গ। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে, মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় তার। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় দুই দিন অপেক্ষা করেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক কঠিন অথচ মহান সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা—ছেলের লিভার ও কর্নিয়া দান করবেন। উমাঙ্গের এই অঙ্গদান বাঁচিয়ে দেয় এক জনের জীবন এবং দুই জনকে ফিরিয়ে দেয় দৃষ্টিশক্তি। এভাবেই মৃত্যুর পরও সমাজে জীবন্ত রয়ে গেল উমাঙ্গ। আজ, বাংলার মানুষ উমাঙ্গকে শুধু চোখের জলে নয়, গর্বে ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে—যে মৃত্যুর মধ্যেও জীবন ছড়িয়ে দিয়ে গেল।

আরও পড়ুন- চিপস চুরির অপবাদ! অপমানে আত্মঘাতী ছাত্র, উত্তাল পাঁশকুড়া

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
