কলকাতায় এসে নস্টালজিক পরিচালক ইমতিয়াজ আলি। তাঁর মুখ থেকে প্রকাশিত হয়, কলকাতায় এলে মনে হয় ঘরে ফিরে এসেছি। কলকাতা আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনের সঙ্গে জড়িত একটি শহর যেখানে এলে আমি আবেগপ্রবণ হই এবং সৃজনশীলতাকে খুঁজে পাই।

প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের শতবর্ষ উদযাপনে এসেছিল ইমতিয়াজ আলি। ভারতের চলচ্চিত্রে অসীম অবদান রাখা ইমতিয়াজ স্পষ্ট করে দেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ কোনও একক প্রচেষ্টা নয়, একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলাফল। তিনি বলেন, এটি গভীরভাবে সম্মিলিত প্রয়াস যা অন্তর্দৃষ্টি, শোনা এবং ভাগ করে নেওয়া দর্শনের মাধ্যমে তৈরি হয়।

চলচ্চিত্রে সংগীতের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে সংগীতের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেটা শুধুমাত্র অলংকার হিসাবে ব্যবহার হয় না। এর মধ্যে আবেগের সংমিশ্রণ রয়েছে যা কোনও ভাষায় আবদ্ধ থাকে না। অনেক সময় তা গল্পকেও ছাপিয়ে যায়।

প্রথম জীবনের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা মনে করতে গিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, একজন পরিচালক হিসাবে আজও আমি ছোটবেলায় সহপাঠীদের নিয়ে মঞ্চের অভিনয়ের অভিজ্ঞতাকে মনে করি। সেই অভিজ্ঞতাই কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থবহ নতুন কিছু তৈরির ক্ষেত্রকে পরিচালনা করেছিল।

২০৪৭ সালের ভারতবর্ষ স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করতে চলেছে। আর তার আগে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রথিতযশা পরিচালকের বক্তব্য, আমি বিশ্বাস করি চলচ্চিত্র বিপুল ক্ষমতাধর। শুধুমাত্র বিনোদনেই নয়, একটি জাতির পরিচিতি এবং বিশ্বে তার পরিচয় তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক শক্তি হিসাবে কাজ করে চলচ্চিত্র।

আরও পড়ুন – সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেবে ভারত: বার্তা দিতে সিওলে অভিষেকরা
_

_
_

_

_

_

_

_

_
