বছরের পর বছর বাংলার প্রাপ্য টাকা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তা সত্ত্বেও বাংলার মানুষের পরিষেবায় বিন্দুমাত্র খামতি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অথচ বিজেপি শাসিত বা এনডিএ জোট শরিক রাজ্যগুলিতে উদারহস্ত নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তা সত্ত্বেও সেখানে ন্যূনতম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। ডবল ইঞ্জিন ত্রিপুরা (Tripura) থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানির চরম ছবি উঠে এলো, যেখানে সামান্য যাতায়াতের রাস্তাটুকু করে দিতে পারেনি মানিক সাহা প্রশাসন।

ত্রিপুরার কল্যাণপুর বিধানসভার (Kalyanpur assembly) লক্ষ্মীকান্তপুর পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ৩ নং ওয়ার্ডে টিকে রোড থেকে খামারটিলা যাওয়ার তিন কিলোমিটার রাস্তা কোনওদিনও তৈরি হয়েছিল বলেই মনে হবে না। খোয়াই এলাকায় মাটির রাস্তাই মানুষের একমাত্র অবলম্বণ। বর্ষা শুরু হতেই দুর্ভোগ আরও চরমে উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা স্থানীয় বিধায়ক থেকে প্রশাসনকে এই রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। অবস্থা এমনই মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে বাঁশ আর দড়িতে বাঁধা কাঠের তক্তাই ভরসা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনায় সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

কল্যাণপুর বিধানসভার (Kalyanpur assembly) বিধায়ক বিজেপির পিনাকী দাস চৌধুরী। গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০২৩ সালে তিনি জয়ী হওয়ার আগে ২০১৮ সাল থেকেই তিনি এই বিধানসভার বিধায়ক। তা সত্ত্বেও বিজেপির এই বঞ্চনায় বাংলার উদাহরণ টেনে আনেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির সময়েই টাকার বৈষম্য। বাংলাকে টাকা দেয় না। ওদের তো সব টাকা দেয়। ডবল ইঞ্জিন (double engine) রাজ্যগুলিতে এই অবস্থা হচ্ছে কেন?

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–