কুয়ালালামপুরে সফর শুরু হয়েছিল মালয়েশিয়ায় ভারতের হাইকমিশনার বি এন রেড্ডির (B N Reddy) সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে। আর রবিবার ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের দিন শেষ হলো রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করে সারাদিনের কর্মসূচি এবং অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে জানালেন প্রতিনিধি দলের সদস্য তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। বিদেশে গিয়েও বাংলার মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাতে ভুলছেন না অভিষেক।

মালয়েশিয়ায় ভারতের হাইকমিশনার বি এন রেড্ডির সঙ্গে আলোচনায় ভারত-মালয়েশিয়া সম্পর্ক এবং ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক গতিশীলতা সম্পর্কের কথা উঠে আসে।

বিদেশের মাটিতে যেখানেই যান সেখানেই অভিষেক বাংলার তথা ভারতের মনীষীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে ভোলেন না। কুয়ালালামপুরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্রিকফিল্ডসের ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই অনুভূতির কথা জানিয়ে অভিষেক লেখেন, “ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান প্রতীককে সম্মান জানানো ছিল একটি গভীর অর্থবহ মুহূর্ত। ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর একজন প্রবীণ এবং বালক সেনার প্রাক্তন সদস্য এস পি নারায়ণস্বামীর সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁর দৃঢ় মনোভাব নেতাজির আদর্শকে প্রতিফলিত করে চলেছে।”

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও সংসদীয় প্রতিনিধিদলের আলাপচারিতা হয়। বিশ্বব্যাপী ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিষেক।


ভারত-মালয়েশিয়া বন্ধুত্বের প্রতীক তোরানা গেট পরিদর্শন করে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। অভিষেক লেখেন, “হিন্দু ও বৌদ্ধ স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি এই সৌধ দুদেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।”

মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও গঠনমূলক আলোচনা করে ভারতের সংসদীয় সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। পহেলগামে হামলা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতেই যে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের এই সফর সে বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বোঝানো হয়।
দিনের শেষে কুয়ালালামপুরে রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করেন অভিষেক-সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে মঠের সন্ন্যাসীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন অভিষেক। সেই অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, “দিনের সমাপ্তিতে, আমি পেটালিং জয়ায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, মা সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণে প্রতিষ্ঠিত একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। আশ্রমটি শিক্ষা, আধ্যাত্মিক বিকাশ এবং সেবার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে চলেছে। বাংলার শ্রেষ্ঠ নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে সীমান্ত পেরিয়েও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, মূল্যবোধ গঠন করছে এবং জীবনকে অনুপ্রাণিত করছে তা প্রত্যক্ষ করা ছিল এক বিরাট গর্বের মুহূর্ত।”

আরও পড়ুন – বৃষ্টির অজুহাতে ইডেন ব্রাত্য, আহমেদাবাদে বৃষ্টিতেই ম্যাচ পিছোল দুঘন্টা
_

_

_

_

_

_

_
