পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে তীব্র গরমের কারণে আগামীকাল থেকে সকাল স্কুল চালুর ঘোষণা হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এই অবস্থায় বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বাকি জেলাগুলিতে একই রকম পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা জানান, “দেরিতে হলেও পর্ষদের বোধোদয় হয়েছে।” তাঁর মতে, গ্রীষ্মের সময় সকাল স্কুলের রীতি আগে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ছিল। এখন পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলেও সেই রীতি কার্যকর করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, এবছর ২৮ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সকাল স্কুল চালুর জন্য স্কুলগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ কয়েকটি জেলা সংসদ আবেদন করলেও সেই সময় তা অনুমোদিত হয়নি। এরপর ৩০ এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে আনন্দ হাণ্ডা দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় অবিলম্বে সকাল স্কুল চালুর দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্কুলে বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওআরএস, মরসুমি ফল সরবরাহ এবং নিয়মিত জল পান নিশ্চিত করার জন্য ‘ওয়াটার বেল’ চালুর প্রস্তাব রাখেন। শিক্ষক মহলের দাবি, এই দাবদাহে শিশুদের সুস্থতা ও পড়াশোনার স্বার্থেই সকাল স্কুল এখন সময়ের দাবি। দেখা যাক, শিক্ষা দফতর কত দ্রুত বাকি জেলাগুলিতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন – শঙ্কর মহাদেবানের গানে সম্মান প্রদর্শন সেনাবাহিনীকে, মাতল গোটা স্টেডিয়াম

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_