স্থানীয় দুষ্কৃতীদের হামলায় মহেশতলায় অশান্তির ঘটনায় তৎপর রাজ্য পুলিশ। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ ও জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৪০ দুষ্কৃতী (miscreants)। দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের জেরে রবীন্দ্রনগর থানা (Rabindranagar police station) এলাকায় যে অশান্তির ঘটনা ঘটে রাজ্য পুলিশ শক্ত হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকায় জারি পুলিশ পিকেট। অনেকটাই স্বাভাবিক জনজীবন।

বুধবার বেলায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সংঘর্ষের রেশ পড়ে রবীন্দ্রনগর থানায়। বাইকে আগুন লাগানোর পাশাপাশি দোকানপাট বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। দ্রুত জেলা ও কলকাতা থেকে বড় পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।

দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য থামাতে গিয়ে আহত হন কলকাতা পুলিশের বেশ কিছু কর্মী। এরপর ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার (Supratim Sarkar, ADG, South Bengal) ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ আকাশ মাঘারিয়া (Akash Magharia, DIG, Presidency Range)। কাঁদানে গ্যাস সেল ছুড়ে ও মৃদু লাঠিচার্জ করে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এরপর বুধবার রাত থেকে শুরু হয় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে গ্রেফতার হয় ১২ দুষ্কৃতী। এবং জেলা পুলিশের হাতে ২৮ দুষ্কৃতী এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহেশতলা, রবীন্দ্রনগর, আগ্রা, সন্তোষপুর এলাকায় মোতায়েন রয়েছে ব়্যাফ (RAF), কমব্যাট ফোর্স।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–