দ্রুত ও নিরাপদ যাত্রার জন্য যে বিমানকে গোটা বিশ্ব নির্ভর করে, সেই বিমান দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বহু ক্ষেত্রে ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না। বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের (technical fault) পাশাপাশি বিমান পরিচালনের সমস্যায় বিমানের সংঘর্ষে (collision) অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। আবার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গুলি (shot down) করে বিমান নামানোয় মৃত্যু হয় নিরপরাধ বিমান যাত্রীদের। সাম্প্রতিক ও বিভিন্ন সময়ের কিছু বড় দুর্ঘটনার তালিকা।

১৯৭৭ লস রোডিও – বিমান বন্দরের রানওয়েতে মুখোমুখি দুই বিমানের সংঘর্ষ (collision)। মৃত্যু হয় দুটি বিমানের ৫৮৩ কর্মীসহ যাত্রীর।

১৯৮৫ বোয়িং ৭৪৭ – টোকিও থেকে ওসাকাগামী বিমানে বিস্ফোরণের পরে ৩২ মিনিট বিমানটি পাহাড়ের উপর ওড়াতে সক্ষম হন চালক। মৃত্যু হয় ৫২০ যাত্রী, বেঁচে যান ৪ জন।

১৯৯৬ সৌদিয়া ফ্লাইট ৭৬৩ – দিল্লি থেকে সৌদিগামী এই বিমানটির ভারতের চর্কি দাদরি শহরের উপরে অন্য একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ (collision) হয়। দুটি বিমানের ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়।

২০১৪ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স এমএইচ ১৭ – আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী বিমানটিকে গুলি করে নামায় রাশিয়াপন্থী সৈন্যরা। মৃত্যু হয় ২৯৮ যাত্রীর।

২০১৮ লায়ন এয়ার – জাকার্তা থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই জাভা সাগরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। মৃত্যু হয় ১৮৯ যাত্রীর।

২০২০ ইউক্রেন ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্স – ইরানের তেহরান বিমান বন্দর ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড গুলি করে নামায় (shot down) বিমানটিকে। মৃত্যু ১৭৬ যাত্রীর।

২০১৯ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স – নাইরোবির আড্ডিস আবাবা বিমান বন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। মৃত্যু হয় ১৫৭ যাত্রীরই।

২০২৪ আজারবাইজান এয়ারলাইন্স – রাশিয়া থেকে কাজাখস্তানে যাওয়ার পথে আজারবাইজানের কাছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ভুল ক্ষেপনাস্ত্রে (shot down) মাঝ আকাশে ধ্বংস হয় বিমানটি। মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।

এই বড় বিমান দুর্ঘটনাগুলির তালিকায় এবার স্থান পাবে আহমেদাবাদের উপরে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানের দুর্ঘটনাটিও। একদিকে বিমানের কর্মী থেকে যাত্রীসহ ২৪২ জনের মৃত্যু। সেই সঙ্গে এই দুর্ঘটনার শিকার আহমেদাবাদ শহরের বাসিন্দারাও যাঁদের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে।

–
–
–
–