রাজ্যে মাগুর-সহ সমস্ত হাইব্রিড (hybrid) প্রজাতির মাছের চাষ নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী (Biplab Roy Chowdhury)। তিনি বলেন, “এই ধরনের মাছ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে জন প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।”

মন্ত্রী জানান, বিলুপ্তপ্রায় ৩৩টি দেশি প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের জন্য ‘অভয় পুকুর’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরকারি জলাশয়ে ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬টি ইউনিট (unit) গড়া হয়েছে। আগামী বছরে আরও ১২টি ইউনিট স্থাপন হবে।

রাজ্যে মাছ উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। ২০২৩-২৪ সালে যেখানে বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল ১.৪২ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ, ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১.৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন। একইসঙ্গে, আন্তঃরাজ্য আমদানি কমাতে ২২৪ হেক্টর জলাশয়ে বড় মাছের চাষে মৎস্য সমবায় ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করা হয়েছে।

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার নিরাপত্তায় ৫০০টি ট্রলারে বসানো হয়েছে ISRO-র তৈরি দ্বিমুখী এমএসএস ট্রান্সপন্ডার। মৎস্যজীবীদের জন্য বিমা ও পরিচয়পত্র প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি, ২০২৩-২৫ সালে ৭১ হাজার মৎস্যজীবীকে মাছচাষ ও প্রক্রিয়াকরণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, “মৎস্যজীবীদের আয় বাড়াতে রাজ্য মাছ উৎপাদনে স্বনির্ভর ও রপ্তানিমুখী হতে চায়।”

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–