মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড বক্তৃতায় বাধা দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে আসা চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক গুরুতর অভিযোগ সামনে আসছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে গাফিলতি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডায় জড়িয়ে পড়া— বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না।

কলকাতার রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন এই চিকিৎসক। অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে তিনি রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল ইতিমধ্যেই ডিগ্রিসংক্রান্ত অসঙ্গতির অভিযোগে নোটিস পাঠিয়েছে, যার জবাব এখনও দেননি রজতশুভ্র।

রাজনৈতিক দিক ছাড়াও, পেশাগত জীবনে তাঁর ‘কীর্তি’র নজির মিলেছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমেও। ‘ডেইলি মেল’ পত্রিকার ২০১৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রজতশুভ্র ব্রিটেনের রয়্যাল বোল্টন হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় একাধিকবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এমনকি, এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানাস্থেশিয়া দিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং ট্রাইবুনাল তদন্তে সতর্কতা জারি করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই ফের নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি ওসিআই কার্ড হোল্ডার হয়েও রাজনৈতিক মন্তব্য ও কার্যকলাপে জড়াচ্ছেন, যা ভারতে আইনত নিষিদ্ধ। তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল দ্বিতীয় নোটিস পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “এই ব্যক্তি অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেন। যাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে রোগীর মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তিনি এ দেশে এসে বিজেপির মদতে রাজনৈতিক অপপ্রচার করছেন।”

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “ব্রিটিশ নাগরিকত্ব থাকা অবস্থায় ভারতীয় রাজনীতিতে জড়ানো আইনসম্মত নয়। তাই রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। তবে বাংলায় গণতন্ত্র আছে বলেই তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়নি।”

আরও পড়ুন – নিকাশিনালার মাটি খুঁড়তেই বেরোল গৃহবধূর পচাগলা দেহ! স্বামী- সহ গ্রেফতার ৪

_

_

_

_

_
_
_
_
_