ধর্মীয় মেরুকরণের সব মাত্রাই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে ছাড়িয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। ফলে বিজেপি নেতাদের ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তা এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে এবার দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত প্রাক্তন বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের। সরাসরি দেশের জাতীয় পতাকাকে (National Flag) গেরুয়া করে দেওয়ার সুপারিশ কেরালার (Kerala) বিজেপি নেতা এন শিবরাজনের। এখানেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপি কীভাবে দেশ থেকে বহুত্ববাদ (pluralism), দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার রাজনীতি করছে তা নিয়ে তোপ বাংলার শাসক দল তৃণমূলের।

সম্প্রতি কেরালার রাজভবনের একটি অনুষ্ঠানে ভারতমাতার ছবির হাতে গেরুয়া পতাকা (saffron flag) নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। কেরালা সিপিআইএম ও কংগ্রেসের তরফ থেকে এই ঘটনায় রাজভবনের প্রতি তীব্র কটাক্ষ করা হয়। বাম মন্ত্রীরা রাজভবনের সেই অনুষ্ঠান বয়কটও করে। পাল্টা কেরালার বিজেপি নেতারা রাজভবনের কীর্তিকে সমর্থন করে পথে নামে। তারা গৈরিকীকরণের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়।

সেই বিতর্ককে নতুন মাত্রা দেয় বিজেপি নেতারা। বিজেপির অন্যতম বড় নেতা এন শিবরাজন দাবি করেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তেরঙা জাতীয় (Tricolour) পতাকাকে সরিয়ে এবার জাতীয় পতাকা গেরুয়া (saffron) রঙের হওয়া প্রয়োজন। এভাবে দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস।

জাতীয় পতাকার এই অবমাননায় আদতে যে বিজেপির মূল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হচ্ছে, তা তুলে ধরে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়, এটা একটা উসকানি এবং ইউএপিএ (UAPA) ধারায় মামলা হওয়া উচিত। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এরপরেও কোনও একটিও শব্দ খরচ করা হয়নি এই প্রসঙ্গে। কেন? কারণ শিবরাজন শুধু বিজেপির বাস্তবের বিশ্বাসকেই বলে ফেলেছেন।

এই ঘটনায় বিজেপির উদ্দেশ্য যেভাবে স্পষ্ট হয়েছে তা তুলে ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজেপি চায় ভারতের বহুত্ববাদ (pluralism) মুছে ফেলতে। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কৃতিত্বকে মুছে ফেলতে চায়। বিকৃত করতে চায় ইতিহাস। একটি বিবিধ ও গণতান্ত্রিক জাতির উপর এক-দল, এক-শাসন কায়েম করতে চায়।

–

–

–

–

–

–
–
–
–