বারাসতের (Barasat Fire Incident) বামুনমুড়া কদম্বগাছি এলাকার একটি কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রায় কুড়ি ঘণ্টা কাটতে চলল, অথচ এখনও পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার (Pocket Fire) রয়ে গেছে। দ্রুত তা খুঁজে বের করে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানোই দমকলকর্মীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় কুড়িটি ইঞ্জিন কাজ করলেও এখন বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সকালের পর থেকে নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কোনও খবর মেলেনি।

শনিবার সারারাত কাজ করার পর রবিবার সকাল থেকেও জোর কদমে আগুন নেভানোর জন্য সব রকমের পদক্ষেপ করেছেন দমকলকর্মীরা। দাউদাউ করে না জ্বললেও কারখানার টিনের নীচে চাপা পড়ে থাকা জায়গা গুলিতে পকেট ফায়ার এখনও রয়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল, কিন্তু এখনও পুরোপুরি ভাবে তা নেভানো সম্ভব হয়নি। দিনের আলো থাকতে থাকতেই আগুন সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে ফেলতে তৎপর দমকলকর্মীরা। পাশাপাশি কারখানার আশপাশের বাড়িঘর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। কারখানা ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় সেখানকার কর্মরত অন্তত পাঁচশো শ্রমিক।রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar) । পরে ঘটনাস্থলে যান বারাসতের এসডিও সোমা দাস, বারাসাত বিডিও-১ রাজীব দত্তচৌধুরী এবং দেগঙ্গা বিধানসভার বিধায়কা রহিমা মণ্ডল। কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–

–