পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি যতদিন সংকটজনক থাকবে ততদিন জ্বালানি সংক্রান্ত সমস্যায় থাকবে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি। কার্যত তারা যে এই দ্বন্দ্বে উসকানি দেবে না তা স্পষ্ট। এবার পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে একই মত ভারত-পাকিস্তানের। যদিও দুই প্রতিবেশী দেশই নিজেদের মতো করে ইরানে (Iran) মার্কিন হামলার (US attack) বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তান কোনও তরফেই আমেরিকার সঙ্গে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করা হয়নি।

ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রের উপর আমেরিকার হামলার পরে ইরান রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেসকিয়ানের (Masoud Pezeshkian) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মোদি জানান, ইরান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ার নিজের গভীর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন মোদি। সেই সঙ্গে দ্বন্দ্ব থামাতে (de-escalate) আহ্বান করা হয় নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) তরফে। আলোচনা ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আগামীতে পশ্চিম এশিয়ার এলাকায় দ্রুত আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিরতার বার্তা প্রকাশ করেন মোদি।

আরও পড়ুন: আমেরিকা পরিস্থিতি খারাপ করছে: হামলার জয়ধ্বনির পরই প্রতিক্রিয়া বিশ্বের

আশ্চর্যজনকভাবে যে পাকিস্তান শনিবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি (Nobel Peace Prize) দেওয়ার সুপারিশ করেছিল তারাই এবার আমেরিকার বিপক্ষে দাঁড়ালো। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার নিন্দা করা হয় পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের চার্টারের (UN charter) উল্লেখ করে হামলার বিরোধিতা করা হয়। সেই সঙ্গে এবার যে ইরানের যথেষ্ট কারণ রয়েছে পাল্টা প্রত্যাঘাত করার, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–