কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোটগণনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে কড়া নিরাপত্তাবলয়। সোমবার সকাল ৮টা থেকে পানিঘাটা হাইস্কুলে শুরু হবে গণনার কাজ। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুটি হল ঘরে ১৬টি গণনা টেবিলে চলবে সমগ্র গণনা প্রক্রিয়া। তবে রাউন্ডের সংখ্যা কিছুটা বাড়ায়, দুপুর একটা নাগাদ ফলপ্রকাশ সম্ভব বলেই আশাবাদী নির্বাচন দফতর।

নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ি নজরে রেখে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি। স্ট্রংরুম পাহারা দিচ্ছেন ২৪ জন জওয়ান, যাঁরা তিন শিফটে টানা নজরদারি চালাচ্ছেন। নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করতে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুমতি অনুযায়ী স্ট্রংরুম থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে নজরদারি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গণনা কেন্দ্র ঘিরে তৈরি হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়—

• বাইরের বলয়ে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী
• মধ্য স্তরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী
• অন্তর্বলয়ে থাকবেন কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা

কোনও মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র সাদা কাগজ ও কলম নিয়ে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। সাংবাদিকদের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ছবি তোলার অনুমতি থাকবে। গণনা শুরু হবে পোস্টাল ব্যালট দিয়ে, এরপর একে একে খোলা হবে ইভিএম। ৩০৯টি বুথের ফলাফল ২০ রাউন্ডের গণনার মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

এই উপনির্বাচনকে আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। সেই কারণেই নির্বাচন কমিশন এই গণনাকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। এখন শুধু অপেক্ষা, সোমবারের গণনা কতটা নির্বিঘ্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়, তার দিকে।

আরও পড়ুন – সোমবার নবান্নে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

_

_

_

_
_
_
_
_