ওয়ার্ল্ড এমএসএমই ডে: বাংলার উদীয়মান শিল্পের টেকসই বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা

Date:

Share post:

বিশ্ব এমএসএমই দিবসই (World MSME Day) ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের উদযাপনের উপযুক্ত দিন। কর্মসংস্থান তৈরি থেকে আয় ও মহিলা-যুবদের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি এই এমএসএমই। তাই এমএসএমই দিবস উপলক্ষে শুক্রবার কলকাতার একটি হোটেলে বেঙ্গল মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এমএসএমই কনফারেন্স ২০২৫ (MSME Conclave 2025)। আলোচনায় উঠে এল রাজ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্পের (এমএসএমই) সম্ভাবনার পাশাপাশি গ্লোবাল ভ্যালু চেইন্সের আবশ্যিকতা ও সক্ষমতা, উদ্ভাবনী, আত্মবিশ্বাসের রফতানির পক্ষে।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এনডিআইটিএ (NDITA) চেয়ারম্যান ও মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা আলোচনায় উল্লেখ করেন, বাংলায় এমএসএমই-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (BCC&I) বাংলার সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের সহযোগিতায় এমএসএমই কনক্লেভের আয়োজন করা প্রসঙ্গে  ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, কেন্দ্র সরকারের এমএসএমই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সুদীপ পাল। এছাড়াও ইডিসিআই প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় নাথ, ন্যাশানাল এমএসএমই কমিটির চেয়ারপার্সন সুপ্রিয় ঘোষ ও বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের ডিরেক্টর জেনারেল শুভদীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন আলোচনায় উঠে আসে, বাংলা অন্তত ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আঁতুড়ঘর। ভারতের ২১ শতাংশের বেশি এমএসএমই এখানে রয়েছে। এই কর্মক্ষেত্রগুলিতে ১.৩৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করে। এর মধ্যে ৩২.৭ শতাংশ কর্মী মহিলা। এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ১,২২৯ কোটি অর্থ বরাদ্দ করেছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংগঠন এনডিআইটিএ-র (NDITA) পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বাংলার পাশে থাকার। বিশ্বের বাজারে প্রবেশ, বাণিজ্যে মেধা ও লগ্নির সুবিধার বিষয়গুলিতে সহযোগিতা করার বার্তা দেওয়া হয়। এই দুই ক্ষেত্রে কীভাবে সহযোগিতা করা হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয় কনফারেন্সে।

ছোট শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রফতানি সম্ভাবনা, এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকগুলো নিয়ে একটি টেকনিক্যাল সেশনও অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে, এদিনের আলোচনায় স্পষ্ট — রাজ্যে ও দেশে এমএসএমই (MSME) শিল্পে সম্ভাবনা বিপুল, কিন্তু নীতি ও পরিকাঠামোগত সমর্থন ছাড়া সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন কঠিন।

spot_img

Related articles

ত্রিপুরায় ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! ধর্ষক পালালো অসমে

মহিলাদের প্রতি সামগ্রিক মানসিকতা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কীভাবে তলানিতে এসে ঠেকেছে ফের একবার প্রমাণ মিলল বিজেপির ত্রিপুরায় (Tripura)।...

ফের ধস উত্তরবঙ্গে, চারদিন বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

গোটা রাজ্য থেকে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিলেও উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। উত্তরবঙ্গে...

ফের ওড়িশা! বাংলা বলায় মারধর বাংলার শ্রমিককে

বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ভাইরাসের মতো ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যার ভয়ঙ্কর উদাহরণ মিলেছে প্রতিবেশী ওড়িশা...

আজ নাগরাকাটায় মুখ্যমন্ত্রী: যাবেন পার্শ্ববর্তী বিপর্যস্ত এলাকাতেও

উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি বুঝে নিতে দ্বিতীয়বার উত্তরের তিন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার তাঁর উত্তরবঙ্গে...