দেশের একের পর এক প্রকল্প বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে মোদি সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্য ও বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজ্যগুলিকে সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিতে মোদি সরকারের খয়রাতির শেষ নেই। আর তার জেরে দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে তা স্পষ্ট আরবিআই-এর (RBI) রিপোর্টে, যেখানে দেখা যাচ্ছে গত এক বছরে ভারতের ঋণের (debt) পরিমাণ ১০ শতাংশ বেড়ে ৭৩ হাজার ৬৪০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে সমান তালে বেড়েছে কেন্দ্রের সরকারের ঋণের পরিমাণও।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে ২০২৪ সালের মার্চের শেষে দেশের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ৮৮০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই ঋণ (debt) ২০২৫ সালের মার্চের শেষে ১০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়ে (increase) দাঁড়ায় ৭৩ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার (USD)। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ আরও বেশি বেড়েছে। বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ১৯.১ শতাংশ। তার আগের আর্থিক বছরে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৮.৫ শতাংশ।

কেন্দ্রের মোদি সরকার যে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে চলেছে, তা স্পষ্ট আরবিআই-এর (RBI) তথ্য। জানানো হয়েছে, সরকার ধার করেছে ১৬ হাজার ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলি ঋণ করেছে ২০ হাজার ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।

আশ্চর্যজনভাবে যে ঋণ বেড়েছে তার বেশিরভাগটাই দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ। স্বল্প মেয়াদি ঋণ বরং এই সময়ের মধ্যে কমেছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮.৩ শতাংশে, যা আগের বছর ছিল ১৯.১ শতাংশ। উল্টোদিকে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ৬ হাজার ৬০ কোটি মার্কিন ডলার বেড়ে (increase) দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারে (USD)। অর্থাৎ একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য বিজেপির মোদি সরকার গোটা দেশের মানুষকে ঋণের বোঝার তলায় পিষ্ট করা জন্য ছেড়ে যেতে চাইছে। ফলে পরবর্তীকালে নতুন সরকার গঠিত হলে তারা আর্থিক সংস্কারের আগেই বিশ্ব অর্থনীতির ঋণের বোঝার তলায় পড়বে।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–