মোট মাথার দাম ছিল কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা। ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করলেন ১৩ মাওবাদী। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের আবেদন সাড়া দিয়ে বিজাপুর জেলায় আত্মসমর্পণ করেন ৮ মহিলাসহ ১৩ মাওবাদী (Maoists)।

বিজাপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মসমর্পণকারী সিপিআই মাওবাদীদের মধ্যে রয়েছেন, ধামতারি-গরিয়াবন্দ-নুয়াপাড়া এরিয়া কমিটির সদস্য কোসা ওয়াম ওরফে রাজেন্দ্র ওরফে মহেশ (২৯)। শাখা সংগঠন ‘ক্রান্তিকারী আদিবাসী মহিলা সংগঠন’-এর সভানেত্রী ছিলেন কোসি পোড়িয়ান। মাওবাদীরা আত্মসমর্পণের পর সরকারি নীতি মেনে ৫০ হাজার টাকা এককালীন অর্থসাহায্য এবং পুনর্বাসন ও বিকল্প জীবিকা সংক্রান্ত সরকারি সুবিধা পাবেন। ছত্তিশগড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ওই রাজ্যের পুলিশের ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও বস্তার ফাইটার্সের যৌথ অভিযানে বস্তারের অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে অভিযান চলছিলই। এর মধ্যে আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে নিয়ে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) পুলিশের ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG) ও বস্তার ফাইটার্সের যৌথ অভিযানে বস্তারের ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে মাওবাদীরা। যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে পিএলজিএ নেতা-কর্মীদের নিধনের পাশাপাশি বাড়ছে আত্মসমর্পণের প্রবণতাও। মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তিশগড়ে ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসনের জন্যও শুরু হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। তার ফলেই এই ঘটনা বলে দাবি ছত্তিশগড় পুলিশের দাবি।

ক্ষমতায় আসার পরেই পুর্নবাসন দিয়ে, বুঝিয়ে জঙ্গলমহলকে মাওবাদী মুক্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারী বুটের শব্দের বদলে এখন জঙ্গলমহলে পর্যটন-শিল্প। সেই পথেই পুনর্বাসন দিয়ে মাওবাদী নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাচ্ছে ছত্তিশগড়ও।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–