চুরি করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপি নেতা! ভাগ পেয়েছে দল, প্রশ্ন তৃণমূলের

Date:

Share post:

নিজের রাজ্য বা জেলা নয়। পাশের রাজ্যে গিয়ে সোনার দোকানে চুরি (gold ornament)। সেই চুরি হতেই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সোনা চুরি করেন তিনি। এরপরই আসল চমক। চোর অভিযোগে ধৃত যুবক আদতে বিজেপির কর্মী (bjp worker)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে একাধিক নেতার সঙ্গে ছবি সেই বিজেপি নেতার। বাংলার শাসকদলের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, পদাধিকারী নেতা যদি চুরি করেন তবে কী সেই চুরির ভাগ পৌঁছায় শীর্ষ নেতাদের কাছেও?

ওড়িশার (Odisha) জলেশ্বরের একটি সোনার দোকানে গাড়ি করে যান বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা কমিটির সম্পাদক সোমনাথ সাহু। পশ্চিম মেদিনীপুরের হবিবপুরের যুব মোর্চারও কর্মী তিনি। দোকানে ঢুকে সোনা দেখার নাম করে দোকানের কর্মীদের ব্যস্ত করে দেয় সে। এরপরই প্রায় ১০০ গ্রামের একটি সোনার গয়না (gold ornament) নিয়ে চম্পট দেয় সোমনাথ। দোকানের কর্মী ও স্থানীয়রা তার গাড়ির পিছনে অন্য গাড়িতে ধাওয়া করেন। কিছুটা দূরে গিয়ে সোমনাথের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে যেতেই পিছন থেকে তাকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।

ওড়িশা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমনাথকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে। পরে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার ছবি তুলে ধরে যে রাজনীতি বিজেপি করার চেষ্টা করে এই রাজ্যে, তাদের পাল্টা সোমনাথের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ছবি তুলে ধরা হয় দলের পক্ষ থেকে। সেখানে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) সঙ্গে রয়েছেন সোমনাথ সাহু। সেই সঙ্গে বিজেপির ঘাটালের প্রার্থী হিরণের সঙ্গেও ছবি দেখা যায় তার। অভিযোগ তোলা হয় সোমনাথের স্ত্রী ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীও ছিলেন।

অভিযোগ সামনে আসার পরই অভিযুক্তকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা বিজেপির। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সোমনাথের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিজেপি। জেলা কমিটি গঠন না হওয়ার তার নাম তালিকায় রয়েছে বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। যদিও বাস্তব স্পষ্ট করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি স্পষ্ট বলেন, চুরির অভিযোগের ধৃত বিজেপির সক্রিয় কর্মী। সেখানেই তাঁর প্রশ্ন, একজন চোরের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কী সম্পর্ক? তিনিও কী ভাগ পেয়েছিলেন? স্পষ্ট করা হোক এর উত্তর। তৃণমূল কখনই বলে না ওই ব্যক্তিকে চুরি করতে পাঠিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কেন একজন চোরের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির ছবি, তা ব্যাখ্যা সুকান্তকে দিতে হবে।

spot_img

Related articles

হস্টেল থেকে মদ বিক্রি? উত্তপ্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, অভিযোগ গেল স্বাস্থ্যভবনে

সোশ্যালের অনুষ্ঠানে কলেজের হস্টেল থেকে মদ বিক্রির অভিযোগ ঘিরে সোমবার দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনায় দুই...

‘‘তুমি একা নও’’, সন্তানহারা মায়ের কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা মুখ্যমন্ত্রীর

আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়িউত্তরের বন্যায় যখন ঘরবাড়ির সঙ্গে ভেসে গিয়েছিল অসংখ্য মানুষের হাসি, তখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাঁদের...

বিজয়া সম্মিলনীতে অভিষেককে ঘিরে নেতা-কর্মীদের আবেগ-উচ্ছ্বাস, ফের ‘সেবাশ্রয়ে’র সিদ্ধান্ত ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের

ছিল ডায়মন্ড হারবারের বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু দিনের শেষে সেটি হয়ে গেল কার্যত সারা জেলার বিজয়া সম্মিলনী। প্রিয়নেতা ডায়মন্ড...

ডার্বির কথা ভাবতে নারাজ অস্কার, নামধারীর বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন হিরোশি?

মঙ্গলবার আইএফএ শিল্ডে(IFA Shield) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)। প্রতিপক্ষ নামধারী এফসি(Namdhari fc)। শ্রীনিধি ডেকানের...