নিউ টাউনে ২০ একর জুড়ে বিস্তৃত বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে TCS অফিস ক্যাম্পাসের জমির অনুমোদনের পরে এবার রাজারহাটে AI সেন্টার তৈরি করছে আইটিসি ইনফোটেক। সে জন্য নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া-থ্রি এলাকায় ১৭ একর জমির জন্য ‘অকুপেন্সি সার্টিফিকেট’ দিয়ে দিয়েছে পুরসভা। মঙ্গলবার, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রযুক্তি নির্ভর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক স্তরে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। অন্তত ৫ হাজার পেশাদার কর্মী আইটিসি-র ওই ভবন থেকে কাজ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী গ্লোবাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর (AI) উদ্বোধন করেন। রাজ্যে এটিই প্রথম ‘এআই হাব’। মমতা জানান, রাজারহাটে আইটিসি ইনফোটেক এআই সেন্টারটি তৈরি করেছে। ৪০টি দেশের ক্লায়েন্টদের পরিষেবা দেওয়া হবে। আইটিসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী বিজিবিএস-এ জানান, তাঁদের অধিকাংশ বিনিয়োগই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ, বাংলায় ‘অপারেশন কস্ট’ যেমন কম, তেমনই সুবিধাজনক কাজের পরিবেশ এবং প্রশাসনিক সাহায্য মেলে।

মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NKDA) কর্তৃক নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া-থ্রি এলাকায় অবস্থিত আইটিসি লিমিটেডের বিশ্বমানের আইটি অ্যান্ড আইটিইএস (ইনফর্মেশন টেকনোলজি এনেবলড সার্ভিসেস) ক্যাম্পাসের জন্য ‘অকুপেন্সি সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে। এই সেন্টারটি তৈরি হয়েছে হিডকো-র বরাদ্দ করা ১৭ একর জমিতে।“

কী এই অকুপেন্সি সার্টিফিকেট?
স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষের জারি করা কোনও নথি, যা কোনও ভবন বা নির্মাণের পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত মান বজায় রেখে নির্মাণকাজ করার জন্য পুরসভার সম্মতি নিশ্চিত করে। এই অর্থ ভবন বা নির্মাণটি বসবাসের জন্য নিরাপদ এবং তা পুরসভার সব নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে।

Glad to share that the Occupancy Certificate is being issued by our New Town Kolkata Development Authority (NKDA) for ITC Limited’s world-class IT & ITES campus in Action Area-III of New Town, spread over 17 acres of land allotted by our WBHIDCO.
The campus comprises three key…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 1, 2025
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “ক্যাম্পাসটিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রয়েছে- একটি অতি উচ্চ অফিস টাওয়ার, একটি ব্যবসায়িক সহায়তা কেন্দ্র এবং একটি নলেজ ক্যাম্পাস। সব মিলিয়ে ১৪.৫ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি জায়গা জুড়ে নির্মাণ হচ্ছ। প্রায় ১,২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের মাধ্যমে, এই সুবিধাটি এখন ৫,০০০-এরও বেশি পেশাদারের জন্য সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
এটি বাংলার একটি মাইলফলক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ডিজিটাল এবং প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোগে বিনিয়োগের জন্য এটি অন্যতম গন্তব্য হতে চলেছে। যা পশ্চিমবঙ্গের উত্থানকে আরও ত্বরান্বিত করবে।“
আরও খবর: হায় রে আইনশৃঙ্খলা! ডবল ইঞ্জিন সরকারের হাসপাতালে ছাত্রীর বুকে বসে গলা কাটল যুবক, ধিক্কার তৃণমূলের

–

–

–

–

–

–
–
–